ঢাকা, বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধা শহরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানঃ ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

সঞ্জয় সাহাঃ | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩০ মে ২০২২ ০৫:১৭:০০ অপরাহ্ন | স্বাস্থ্য

গাইবান্ধা সহ সারাদেশে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এতে করে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে  অনেক সময়  এসব  প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকার টেষ্ট এর রিপোর্ট মানসম্মত না থাকায় ভোগান্তি ও হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে রোগী সহ রোগীর নিকটজনকে। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে রোগীর লোকদেরকে। ফলে সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে সরকার কর্তৃক হাইকোর্টের নির্দশনা থাকায় শহরের বিভিন্ন  অবৈধ ক্লিনিক ও
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল আলম। ৩০ মে সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শরিফুল আলম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান কালে  স্কয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
আলমদিনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড
কনসালটেশন  সেন্টার এর রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া সহ  সতর্ক করে দেন।


এসময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সুলতানুল আরেফিন, মেডিকেল অফিসার মঞ্জুরুল হাসান সৌরভ, সদর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নাজমুস সাকিব সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ পুলিশ সদস্যরা।


" গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সুলতানুল আরেফিন"  বলেন- গাইবান্ধায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গড়ে উঠা এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনিবন্ধিত ও নবায়ন করা নেই এসব প্রতিষ্ঠান তালিকা সিলেক্ট করা হচ্ছে। রেজিষ্ট্রেশন না থাকার কারনে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। সে সাথে যাদের নবায়নের মেয়াদ শেষ তাদেরকে নবায়ন করতে ও যাদের রয়েছে তারা যেন ঠিকভাবে পরিচালনা করে সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল আলম বলেন- রেজিষ্ট্রেশন না থাকার " স্কয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
আলমদিনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড
কনসালটেশন  সেন্টার" নামে  দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। নিবন্ধন না করে প্রতিষ্ঠান খুললে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে সাথে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।