কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদারের বিরুদ্ধে ওভার লেপিং (একইজমিতে দুইবার) নামজারী করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন দারুল কোরআন একাডেমীর পক্ষে আরমান উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটাখালী মৌজার বিএস ১৬৯ খতিয়োনের রেকর্ডিয় মালিক রুহুল কাদের চৌধুরী।
ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত রুহুল কাদের চৌধুরীর স্ত্রী শাহেনা বেগম বিগত ১১-০১-২০২২ সালে ২৪৪/২২ নং দানপত্রমূলে নিজেদের প্রতিষ্টিত দারুল কোরআন মাদ্রাসায় ১০ শতক জমি দান করেন।
পরে তিনি আরো কিছু জমি দুই ছেলেকে হেবাদান করেন। এছাড়া রুহুল কাদের চৌধুরীর ওয়ারিশ এরশাদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী ওই খতিয়ান থেকে কিছু জমি স্থানীয় আবদুর রহমান মধু নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়ার অব এটর্নি দেন।
কিন্তু চিরিঙ্গা ভুমি অফিসের তহশীলদার সলিমউল্লাহ ও সার্ভেয়ার মশিউর রহমানের যোগসাজসে
তিনি দারুল কোরআন একাডেমীর নামে নামজারির মামলাটি আটকিয়ে রাখে। পরে পাওয়ার অব এটর্নিমূলে গ্রহিতা আবদুর রহমান ওই জমি তার স্ত্রীকে হেবা করেন। স্ত্রী নামজারীর জন্য আবেদন করে। আবদুর রহমান তিনদিনের মাথায় ভূমি অফিসের তহশীলদার ও সার্ভেযারের মাধ্যমে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে খতিয়ান সৃজন করে দেন।
এতে দারুল কোরআন একাডেমীর নামে খতিয়ান সৃজন করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরারবর একটি আবেদন করেন আরমান উল্লাহ।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে রেভেনিউ ডেপুটি কালেক্টর মনজুর আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেন।