কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যায় ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত সোমবার (৭ আগস্ট) মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর পয়েন্টে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় শাহআলম (৩৫) নামে এক যুবক।
দুই ঘন্টা পর একই স্থানে শাহআলমের লাশ উদ্ধার হয়। ওই দিন বরইতলী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড বড়ঘোনা এলাকায় মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় মো. সাবিদ (৫) ও তাবাচ্ছুম (১) নামে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে মানিকপুর এলাকা থেকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া আনোয়ার হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। আনোয়ার আগের দিন সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
একইদিন রাত ১০টার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের উত্তর বহদ্দারকাটা এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে বাবা ও দুই ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড হাজী রওশন আলী পাড়া এলাকায় রেললাইনের কালভার্ট থেকে বন্যার পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় মো. আসিফ (১২) নামে এক শিশু। তার এখনো খোঁজ মেলেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকা থেকে মো. জিহান (১২) নামে বন্যার পানিতে ভাসমান এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া খুটাখালী এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সাহারবিল ও ফাসিয়াখালী পৃথক তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে ও সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ৩০ঘন্টায় এত মৃত্যুর ঘটনা এবার প্রথম।