
সাত বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত এই সভা জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলসংলগ্ন মাঠে সকাল সাড়ে দশ টায় শুরু হয়।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এই সভায় অংশগ্রহণের জন্য এসেছেন। দীর্ঘ সময় পর এই সভায় অংশ নিতে পেড়ে উচ্ছ্বসিত নেতারা।
জানা গেছে, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ছয় স্তরের চার হাজারের বেশি নেতারা এই বর্ধিত সভায় অংশ নিচ্ছেন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তা ও সদস্যরা, সব মহানগর, জেলা, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা রয়েছেন।
এর বাইরেও বিএনপির ১১টি অঙ্গসহযোগী সংগঠনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এই সভা থেকে আগামী নির্বাচন, আন্দোলনের প্রস্তুতিসহ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হবে। তৃণমূলের বক্তব্য শুনবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দেবেন দিক-নির্দেশনামূলক নতুন বার্তা। তবে, এ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বক্তব্য ও মতামতকে প্রাধান্য দেবে বিএনপি।
বর্ধিত সভা সম্পর্কে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে সাংগঠনিক দক্ষতাকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সেই সাথে একটি স্লোগানকেও আমরাও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, সেটি হলো, সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র।
এই বর্ধিত সভা সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ৬টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। অভ্যর্থনা কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাবিব উন-নবী খান সোহেল। আপ্যায়ন কমিটির নেতৃত্বে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নেতৃত্ব দিচ্ছেন শৃঙ্খলা কমিটির। মিডিয়া কমিটির নেতৃত্বে মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চিকিৎসাসেবা কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রফিকুল ইসলাম।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ‘লো মেরিডিয়ানে’ বর্ধিত কমিটির সভা হয় যেখানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। এর চার দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেন তিনি।
বায়ান্ন/আরএইচ/পিএইচ