গত ১২ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে রেল কর্তৃপক্ষ গোটা সৈয়দপুর শহরে মাইক বাজিয়ে নোটিশ প্রদান করে যে রেলের জমিতে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনাসমূহ বাঙ্গালীপুর ব্রিকফিল্ড এলাকা, যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের হাতে তামান্না সিনেমা হলের মূল্যবান ভূমি, কলাপট্টি সবজী বাজার এলাকায় যে সকল অবৈধ স্থাপনা রেলের জমিতে গড়ে উঠেছে সেসব উদ্ধারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। নির্ধারিত তারিখে রেলের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট নুরুজ্জামান অভিযান শুরু করলে তামান্না সিমেনা হলের পাওনা আদায়ে আসলে সৈয়দপুরের পৌর মেয়র রাফিকা জাহান আকতার বেবী তার পৌর পরিষদ ও বেআইনী অবৈধ দখলদারদের সাথে নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করে এবং উত্তেজিত জনতাকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিট্টেট নুরুজ্জামানকে লাঞ্ছিত করে। এই উচ্ছেদ অভিযান ব্যার্থ করে দিয়ে পৌরমেয়র ভূমিদস্যুদের সাথে নিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল বের করেন।
পৌরসভা রেলের জমিতে অবৈধ আধুনিক সবজী বাাজার নামে তথাকথিত বাজার তৈরী করে রেলের মূল্যবান জমি ও ব্যাকবোন ড্রেন দখল করে দোকান ও মার্কের্টের পজিশন বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় কোটি টাকা। অথচ উক্ত জমিতে রেলের মামলায় রেল কর্তৃপক্ষ মামলা জিতে পৌরসভার বিপরীতে আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বহাল সে আদালতের আদেশ অমান্য করে পূনরায় র্নিমান কাজ সমাপ্ত এবং ঠিকাদার কর্তৃক ও অবৈধ দখলদার কর্তৃক সাংবাদিকের মামলা হামলাসহ জীবননাশের হুমকি চলমান, সমস্ত ঘটনা দূদকের অনুসন্ধান টীম পৌরসভায় তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের সাথেও দূর্ব্যাবহার করা হয়। পৌরসভার ঠিকাদার আসাদুল ইসলাম আসাদ উক্ত অবৈধ কাজের বিল নেওয়ার জন্য পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করে বলে একাধিক সূত্র দাবী করে। পৌরমেয়রের সরকার বিরোধী অবস্থান ও সরকারী কাজে বাধা ও ভ‚মিদস্যুদের উস্কে দিয়ে তাদের কাছে মোট অংকের টাকা নিয়ে শহরের মধ্যখানে বিশাল বিশাল অবৈধ বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
রেলের জমিতে এইসব অবৈধ নির্মানের মহোৎসব সরকারের কোন প্রশাসন জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, রেল প্রশাসন, ভ‚মি মন্ত্রণালয়, দূদকসহ সকলেই যেন চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। ১৬ কোটি জনগনের সম্পদ ভ‚মিদস্যুরা লুঠপাঠ করছে কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদদে। এইসকল ভিআইপি ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজ বারবার মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচী পালন করলেও ভ‚মিদস্যুরা তাদের উপহাস করে বলছে আমাদের কিছুই করতে পারবে না, আমাদের উপরে যোগাযোগ রয়েছে। দায়িত্বশীল প্রশাসন ও দপ্তরের কবে ঘুম ভাঙ্গবে সেটি দেখার অপেক্ষায় সচেতন নাগরিক সমাজ।