ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাঁচলাইশ আবাসিকে বানিজ্যিকরণ বন্ধে বিজ্ঞপ্তি দিলেন গণপূর্ত

কাজী হুমায়ুন কবির : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় প্রতিনিয়ত বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এই বিষয়ে দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর সেই আবাসিকে কোন আবাসিক প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠা বা বন্ধের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দিলেন গনপূর্ত বিভাগ-১।

 বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লীজ গ্রহিতা ও হস্তান্তরকারীদের চট্টগ্রাম গণপূর্ত পাচলাইশ এলাকার অধীনে প্লট সমূহ শুধুমাত্র আবাসিক হিসাবে ব্যবাহারের জন্য বরাদ্দ। গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অনুমতি ব্যতিত প্লট সমুহ আবাসিক কাম বানিজ্যিক বা শুধুমাত্র বানিজ্যিক ভবন হিসাবে ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। যারা আবাসিককে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে, তাদেরকে অতিসত্বর এই ধরনের বানিজ্যিক ব্যবহার বন্ধের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় লীজ দলিলের শর্ত লঙ্গনের দায়ে তাদের নামে বরাদ্দকৃত জমিনের লীজ দলিল বাতিলের নিমিত্তে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে। 

উল্লেখ্যযে, চটগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকাটি সরকারী আবাসিক হলেও এখানে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তোয়াক্কা করছেনা কোন আইনের। আবাসিক এলাকায় বানিজ্যিকরণের আইন না থাকলেও প্রতিনিয়ত বানিজ্যিকরনে হারিয়ে ফেলছে তার আবাসিক সৌন্দর্য। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তার হুমকিতে এলাকাবাসী।  সরেজমিনে দেখা যায়, এই আবাসিকের প্রতিটি বাড়িই পরিণত হচ্ছে একেকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। প্রতিদিনই একটা না একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। ভবনের নিচতলার পার্কিংয়ের জায়গাও যেন এ থেকে বাদ যাচ্ছেনা।

গত ২০১৫ সালের ৮ জুনের মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না। অথচ সে আইনের কোনরকম তোয়াক্কা না করেই এই এলাকায় গড়ে উঠছে অসংখ্য প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল,  অর্ধশত ডায়গনস্টিক সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, স্কুল, মুদিমনিহারি দোকান, লন্ড্রি, সেলুন, রেস্তোরাঁ, এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং, এটিএম বুথসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এতে আবাসিকের বসবাসরত মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। কারন পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা হলেও এখানে সারাক্ষণ ভীড় করে পুরো জেলা থেকে আগত রোগী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। আবসিক ফ্ল্যাটে বসবাসরত পরিবারের বাসিন্দারা জানান তাদের প্রতিদিনের নিরাপত্তাহীনতার কথা।

পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ আবু সাঈদ সেলিম বলেন, গণপূর্তের এই উদ্যগকে স্বাগত জানাই। এইভাবে আমাদের প্রিয় আবাসিকে সকল বানিজ্যিকরন বন্ধ হলে আমাদের এলাকার সকলেই স্বস্থি পাবে। আমরা সিটি কর্পোরেশনকে কোন ট্রেড লাইসেন্স না দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। সিডিএকেও অনুরোধ করবো তারা যাতে কোনভাবেই বানিজ্যিকের কোন নকশা অনুমোদন না দেয়। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সেগুলোও দ্রুত বন্ধের আহবান জানাই।

 এ বিষয়ে গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, পাঁচলাইশ এলাকাটি আবাসিক এলাকা হিসাবেই অনুমোদন পেয়েছে। এখানে বানিজ্যকরনের সুযোগ নেই। আমরা আবাসিকে সকল বানিজ্যিকরন প্রতিষ্ঠান বন্ধে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আশা করি, সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও প্লট মালিকরা সচেতন হবেন।