টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বাঁধের ২টি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ৬টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও সাহাপাড়া।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, এখন পর্যন্ত বাঁধের বরইয়া ও দৌলতপুরের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুহুর নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
>>> কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দা এনাম বলেন, রাত ২টা থেকে মসজিদের মাইকে ডেকে গ্রামের লোকজন একত্রিত করে বরইয়া এলাকার বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পানির তীব্র স্রোতের সঙ্গে আমরা পারিনি। ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জমিতে কাল রোপা আমন রোপণ শেষ করেছিলাম। আজ সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখানে আশপাশের ৩০-৪০টি পুকুর, ফসলি জমি, মসজিদ, বাড়িঘর সব পানিতে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম ঢাকা পোস্টকে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে শুকনো খাবার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ফুলগাজী বাজারসহ অন্যান্য এলাকাও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ ফুটের বেশি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের রাস্তাঘাট ছাড়াও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং আমন ধান তলিয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন স্থলে আমরা এসেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দীদের উদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বলা হয়েছে।