চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের আলীনগর, রুবি গেইট, টেক্সটাইল, শহীদনগর, ওয়াজেদিয়া, নয়াহাট, রুপাবাদ, বালুছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক বেচা-কেনার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রায় ১০ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর দাপিয়ে বেড়াতো ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপের’ সদস্যরা। গলায় গামছা পেঁচিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে দুর্বল করে ছিনতাই করা ছিল তাদের কৌশল। ২০১৭ সালে হামকা গ্রুপের মূল নেতা নুর আলম গ্রেফতারের পর দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর হামকা গ্রুপ ভেঙে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সেই গ্রুপের কয়েকজন মিলে গড়ে তোলা আরেকটি ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্যকে ২০২০ সেলের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
হামকা গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছিনতাইয়ের দায়ে কয়েকবার আল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ছিনতাইয়ে গ্রেফতারের ঝুঁকি বেশি, মাদকে ঝুঁকি কম-এমন চিন্তাভাবনা থেকে আল আমিন ২০১৪ সালে হামকা গ্রুপ থেকে নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে। সে ইয়াবা বিক্রিতে জড়াতে থাকে। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নগরীতে বিক্রি শুরু করে। জানা যায়, আল আমিনের বিরুদ্ধে বায়েজিদসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, আমিন কলোনির স্থানীয় শিক্ষিত সমাজের কিছু কিশোর যখন আল আমিনকে মাদক বিক্রির বাঁধা প্রদান করে, সেই সময় আল আমিন ও তার পালিতো কিশোর গ্যাং তেরে এসে তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে আল আমিন মাথায় আগাত প্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায়, আমিন রেলগেট, ফুলবাগান ও তার আসপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং গুলো হাতে প্রায় কয়েক বছরে ৩ জন নিহত হয়েছে।
চলিত বছরের ৬ ডিসেম্বরে বুধবার রাতে আমিন রেলগেট এলাকায় এলাকার দোকানপাট থেকে চাঁদা ও আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে কিশোর গ্যাং করিম গ্রুপের ছুরির আঘাতে অন্য এক কিশোর গ্যাং লিডার মারা যায়। যার নাম প্রকাশ সাগর ওরফে পিসলা সাগর ।