ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও গরুর মাংসের। তবে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি।
এ ছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে সবজির দাম কিছুটা হাতের নাগালে আছে। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০, লম্বা ও গোল বেগুন ৬০-৮০, টমেটো ৩০-৪০, শিম ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
করলা ১১০-১২০, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৭০-৮০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৬০-৭০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১০০-১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শুক্কুর আলী বলেন, কাঁচা মরিচের দাম গত সপ্তাহ থেকে বাড়তি। এই সপ্তাহে বেড়েছে। কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, বাজারে সবজির দাম হাতের নাগালে আছে। তবে দুই-তিনটি সবজির দাম বেড়েছে।
এসব বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। বড় রসুনের কেজি ২০০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। বাজারে কমেছে আদার দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।
বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
বাজারের মাংস বিক্রেতা পাপ্পু বলেন, গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। আমরা আগে যে দামে গরু কিনতাম এখন তা থেকে অনেক বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে। খামার ও গেরস্তের গরুর মালিকরা বলছেন, গো খাদ্য থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়তি। এ কারণে গরুর দাম বেশি চান।
গরুর মাংসের দাম আরও বাড়ার কথা উল্লেখ করে এ বিক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের দাম আরো বাড়বে। শবে বরাতের আগেই গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা হবে।
বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার- এক হাজার ১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়।
বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।
১১ নাম্বার বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, গত সপ্তাহের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। দাম বাড়তি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। আশা করছি রোজার আগে দাম কমবে।