বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহিনুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক ফারুকী,অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মিয়া, কামরুল ইসলাম সজল, মাহবুবুর রহমান খান, জহরুল ইসলাম মুকুল, মোহাম্মদ আলী, দেওয়ান রিপন, হাজী মোহাম্মদ মহাসিন, মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাম্মী আক্তার, মোসাম্মৎ হিরা, নারগিস পারভেজ মুক্তি, নুরুল ইমান বাবুল, ইউছুফ সরকার, আজহারুউদ্দিন রিপন, কেএম মিরাজ হোসেন, সাইদুর রহমান সোহাগ, কেএম বরকত সবুজ, মাহাবুব আলম আক্তার ও কাজী পনির।
এর আগে এদিন ঢাকার নিম্ন আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের কোতোয়ালি জোনের এডিসি-ওসিসহ পুলিশের ছয় ও একজন আনসার সদস্যসহ বিএনপিপন্থি ১২ আইনজীবী রয়েছেন। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দুপুর ১২টার পর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সেখান থেকে আদালতের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। তখন তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলে পুলিশ। এসময় পুলিশ ও আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সড়কে বসে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরানো চেষ্টা করলেও আইনজীবীরা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। সেখানেও পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের পদযাত্রা শেষ হয়।