ধর্ষণের শাস্তি শালিশ বৈঠকে কান ধরে উঠবস!
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে! নবীনগরের শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর ২ নং ওর্য়াডের ১২ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ধর্ষণ করেন একই ওর্য়াডের নকুল সূত্রধরের ছেলে অপু সূত্রধর (৩০)
ধর্ষনের ঘটনা লোকলজ্জার ভয় দেখিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে গ্রাম্য সালিশি বসিয়ে ধর্ষক অপু সূত্রধরকে কান ধরে উঠ-বস করিয়ে সমাধান করে গ্রাম্য বিচারক মমিন মিয়া, অপু সূত্রধরের কাকাতো ভাই প্রান্তোষ সূত্রধর, বাদল সূত্রধর, কমল সূত্রধর, সুভাষ সূত্রধর, বিমল সূত্রধরসহ অন্যান্যরা।কান ধরে উঠ-বস করিয়ে তথাকথিত বিচার সমাধানে ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ধর্ষনের বিচার চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করে।
নবীনগর থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কথা শুনে অপুর মা লনী রানি সূত্রধর ধর্ষিতা পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে অপুকে গুম করা হয়েছে উল্লেখ করে ধর্ষিতার বাবা মা সহ পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এ অভিযোগের জেরে গত ১৯ জানুয়ারী ডিবি পুলিশের একটি টিম এলাকায় তদন্ত করতে আসে বলে জানা যায়। অসহায় প্রতিবন্ধী কিশোরী ওই ধর্ষিতার পরিবার সমাজিক প্রভাবশালীদের ভয়ে কোনঠাসা হয়ে আছে।
ধর্ষিতা ওই তরুনীর বাবা জানান, অহন আমার মরা ছাড়া ওপায় নাই। আমার মেয়েরে ধর্ষণ করে উল্টা আমার নামে গুমের অভিযোগ করছে! ধর্ষিতার মা বলেন, হেরা অনেক আগে অই ইন্ডিয়া বাড়ি কইরা রাকছে। আমার মাইয়ারে ধর্ষনের পর হের কাকা ও কাকাতো-ভাইয়েরা মিল্লা কান ধইরা ওঠ-বস কইরা ছাইড়া দিচে। এখন উল্ডা কয় আমরা হের পুতেরে গুম করচি। আমার মাইয়ার ধর্ষনের বিচার কেও করলো না,হের পুতেরে গোপনে ইন্ডিয়া পাঠাইয়া দিয়া উল্ডা কয় আমরা গুম করচি! আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান,ধর্ষণের বিষয়টা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
