হিলি বন্দরের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ২২ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ”েছ। আবার খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছেন ২৫ টাকা আর ২৮ টাকা কেজি দরে।
কম দরে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। আবার বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় কমে যা”েছ পেঁয়াজের দাম, বলছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে হিলির পেঁয়াজ বাজার ঘুরে জানা যায়, তিন দিনের ব্যবধানে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা। গত তিন দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিলো ২৬ টাকা কেজি, তা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিলো ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজের পাইকারি কেজি ছিলো ৩০ থেকে ৩২ টাকা, তা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিলো ৩৫ টাকা কেজি দরে।
আজ সেই ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হ”েছ ২২ থেকে ২৩ টাকা, তা আবার খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ পাইকারি হ”েছ ২৬ টাকা কেজি দরে, তা আবার খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, বাজারে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম তিন থেকে চার টাকা কম-বেশি। তাহলে কয়েক টাকার জন্য কেন ভারতের পেঁয়াজ নিবো? তাই দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকা দরে নিলাম।
হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া বলেন, ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম অল্প কম-বেশি। তাই মানুষ দেশি পেঁয়াজটাই বেশি কিনছেন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ বাজারে প্রচুর উঠতিছে, দামও অনেক কম। ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দামের পার্থক্য সামান্য, তাই ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজি বেশি ক্রয় করছেন। বর্তমান আমরা জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও আক্কেলপুর থেকে দেশি পেঁয়াজ আমদানি করছি। দেশি পেঁয়াজ যে হারে আমদানি হ”েছ তাতে আশা করছি পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।