ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

অটো চয়েজে কেউ নিলো না মাশরাফি, তামিম, রিয়াদকে

ক্রীড়া ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:০১:০০ অপরাহ্ন | খেলাধুলা

 

বিপিএলের জট খুলেছে আগেই। দল কতগুলো? কোন ক্রিকেটার কোন ক্যাটাগরিতে? প্লেয়ার্স ড্রাফট কবে? শুরুর দিনক্ষণ- এসব জানা হয়ে গেছে। মোটকথা, বেজে গেছে এবারের বিপিএল ঢংকা। খুব নীরবে-নিভৃতে শেষ হয়েছে ছয় দলের অটো চয়েজের কাজও।

 

আগেই জানা, এবার কোনো আইকন নেই। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে প্রতিদল তিনজন করে বিদেশি আর একজন করে স্থানীয় ক্রিকেটার দলে নিয়ে রাখতে পারবে। অর্থাৎ আগামী ২৭ ডিসেম্বর যে প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে, তার আগেই ছয় দল একজন করে স্থানীয় ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারবে।

 

সাকিব বরিশালের অটো চয়েজ। নাসুম চট্টগ্রামের অটো চয়েজ আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আগেভাগেই পেসার মোস্তাফিজকে নিশ্চিত করে রেখেছে।

 

এর বাইরে বাকি তিন দল ঢাকা, খুলনা ও সিলেটও পছন্দের ক্রিকেটার বেছে নিয়েছে। সে তালিকায় মুশফিকুর রহিমের নাম থাকলেও নেই ‘এ’ ক্যাটাগরির তিন শীর্ষ তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

 

ভাবছেন এও সম্ভব? হ্যাঁ, বিস্ময়কর মনে হলেও, এটাই বাস্তব। বরিশাল (সাকিব), চট্টগ্রাম (নাসুম) আর কুমিল্লার (মোস্তাফিজ) পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা ও সিলেটও অটো চয়েজ নিয়ে নিয়েছে।

 

ঢাকার অটো চয়েজ সৌম্য সরকার। সিলেটের অটো চয়েজ তাসকিন আহমেদ। আর খুলনার অটো চয়েজ মুশফিকুর রহিম।

 

মাশরাফি, তামিম ও রিয়াদকে কোনো দল অটো চয়েজে রাখেনি। তার মানে এই তিন শীর্ষ তারকা এখন আর কোনো দলের হয়ে আগেই খেলা নিশ্চিত করে ফেলতে পারছেন না। তাদের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে যে কোনো দল তাদের কিনতেও পারে আবার নাও কিনতে পারে।

 

তাদের বদলে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে সৌম্য, তাসকিন, নাসুম আহমেদ চলে এসেছেন অটো চয়েজে। তারা এখন আর প্লেয়ার ড্রাফটে থাকবেন না। আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোমবার যে প্লেয়ার ড্রাফট হবে, তাতেই নির্ধারিত হবে মাশরাফি, তামিম ও রিয়াদের ভাগ্য।

 

কেন এই অবস্থা? যারা দেশের অন্যতম শীর্ষ তারকা, সেরাদের সেরা- তারা কেন অটো চয়েজে নেই? কেউই আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেননি। তবে মাশরাফির দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবারের প্রিমিয়ার লিগ না খেলা একটা ধোঁয়াশার জন্ম দিয়েছে। প্রায় একই কথা প্রযোজ্য তামিম ইকবালের বেলায়ও। তিনিও সেই প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর থেকে খেলার বাইরে।

 

তাই তার শারীরিক ফিটনেস এবং ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে খানিক সংশয় আছে। এছাড়া আরও একটি বড় কারণ হলো, তাদের চড়া মূল্য। ন্যূনতম ৭০ লাখ টাকা। ওই মূল্যে অন্য ক্যাটাগরির অন্তত দুজন ভালো মানের খেলোয়াড় পাওয়া সম্ভব।

 

এসব বিবেচনায় হয়তো মাশরাফি আর তামিমকে অটো চয়েজ হিসেবে নেয়নি কোনো দল। তবে মোটামুটি ফর্মে থাকা রিয়াদ কেন ছয় দলের কারও অটোমেটিক চয়েজ হলেন না? সেটা খানিক বিস্ময়কর! তার চেয়ে বেশি অবাক করা সত্য হলো, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রানখরায় ভোগা মুশফিকুর রহিম। তাকে অটো চয়েজে দলে টেনেছে খুলনা।

 

এদিকে ছয় দলের মধ্যে চার দলের কোচও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বরিশালের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, চট্টগ্রাম কোচ হিসেবে নিয়েছে পল নক্সনকে। আর ল্যান্স ক্লুজনারকে কোচ হিসেবে ভাবছে সিলেট।