ঢাকা, মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আজমিরীগঞ্জে ঈগলের শোডাউন থেকে মহিলাকে লাঞ্ছিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:৪৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের সমর্থনে করা শোডাউন থেকে গ্রামের ভিতরে বাড়িতে প্রবেশ করে এক নারীকে লাঞ্ছিত করে গলার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শোডাউনে থাকা এক সমর্থকের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের কাটাখালীর বাজার সংলগ্ন (পাথারিয়া হাটীতে) এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

তবে ওই সমর্থক অপরিচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন।

 

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে কাটাকালী বাজার সংলগ্ন পাতারিয়া হাটির সামনের ফুটবল খেলার মাঠে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঈগল) এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সমর্থকেরা মিছিল বের করেন।

 

 

ঘন্টাব্যাপী এই মিছিলের এক ফাঁকে কয়েকজন সমর্থক পাতারিয়া গ্রামে প্রবেশ করে। এসময় গ্রামের জীবন চন্দ্র দাসের বাড়ির পিছন দিকে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে হেনেস্থা করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় গ্রামের দুই যুবক তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলে অংশ নেয়া কয়েকজন ওই দুই যুবককে বেদড়ক মারপিট করে।

 

 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘সামনের মাঠে ঈগলের সমর্থকেরা মিছিল করছিল। আমি বাড়ির সামনের দরজা বন্ধ করে পিছনে কাজ করছিলাম। এময় একজন অপরিচিত যুবক হঠাৎ আমার পিছনে এসে আমাকে হেনেস্থা করে আমার গলার চেইন নিয়ে পালায়। আমি তখন ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি।’

 

প্রতক্ষদর্শী বিপ্রেশ দাস ও গোপেশ চন্দ্র দাস জানান, মিছিলের এক সময় দেখি গ্রামের দুই মহিলা দুইজনকে ধাওয়া করছে। বিষয়টি জানার পর আমরাও তাদের ধাওয়া করে মাঠে যাই। কিন্তু এসময় তাদের সাথে থাকা অন্য সমর্থকেরা আমাদের মারপিট করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক শোডাউনকারীরা পিকআপ ও মোটরসাইকেল করে পাহাড়পুরের দিকে চলে যায়।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য অটল কুমার দাস বলেন, ‘আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমাদের মা বোনের ইজ্জতই যদি নিরাপদ না থাকে তবে আর কি বলবো?’

 

 

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেজিৎ চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার পর সরজমিন আমরা কাউকে পাইনি। যদি অভিযোগ পাই, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

 

 

 তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।