ঢাকা, সোমবার ১৩ মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১

আদালত থেকে ফেরার পথে শান্তিগঞ্জের ২ যুবকের উপর হামলা

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩৯:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
সুনামগঞ্জের আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের ২ যুবকের উপর বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। হামলায় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান মানিক (৩২) ও একই গ্রামের মো. শামসুন্নুর মিয়ার ছেলে মো. ছনি মিয়া (২৬) গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। সোমবার বিকাল ২টায় আদালত থেকে শান্তিগঞ্জে নিজগ্রামে ফেরার পথে সদর উপজেলার হালুয়ারগাঁও সংলগ্ন ছেঁচনিখাড়ার সেতুতে হামলার শিকার হন তারা। 
 
আহত মুহিবুর রহমান মানিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান ওরফে মতির (৩৫) সাথে আমাদের একটি মামলা চলমান আছে। এ মামলায় হাজিরা দিতে আজ আমরা আদালতে এসেছিলাম। মহামান্য আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করায় প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা আমাদের উপর চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়। বাড়ি ফেরার পথে ছেচনিখাড়ার সেতুতে দুইটা সিএনজি নিয়ে এসে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, রামদা, ছুরি দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এতে আমি এবং আমার চাচা মো. ছনি মিয়া (২৬) গুরুতর আহত হয়েছি। আমরা এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
 
হামলায় মামলার বাদী মতিউর রহমান ওরফে মতি, তার ভাই আবদুস সালাম, একই গ্রামের মৃত হাসিদ উল্লাহ’র ছেলে হাবিব মিয়া (৪০), আপ্তাবুলের ছেলে রাজু মিয়া (২৬), পারভেজ মিয়া (২৪), মাসুক মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (২২), মোস্তফা মিয়ার ছেলে অজুদ মিয়া (৩৮) ও শহরের আরও কিছু লোকসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়।
 
অভিযুক্ত ও মামলার বাদী মতিউর রহমান ওরফে মতি বলেন, মানিক এবং ছনি আমার একটি মামলার আসামী। আমরা একই গ্রামের। আজ আমাদের মামলার তারিখ ছিলো। তারা হাজিরা দিয়েছে। তারা আমার আগে বাড়ি যাচ্ছিলো। পরে আমিও যাচ্ছিলাম। বাড়ি যাওয়ার পথে হালুয়ারগাঁওয়ের ছেঁচনিখাড়ার সেতুতে এসে দেখি কিছু মানুষের জটলা। আমি নেমে পড়ি। সেখানে দেখি আমার মামলার আসামী দু’জন আহত অবস্থায় পরে আছে। স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানতে পারি শহরের কিছু লোকজন তাদের হামলা করেছে। আমি এখানে নেমে যাওয়ার কারণে আহতরা মনে করেছেন আমিই হামলা করিয়েছি।
 
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমন একটি ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
 
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে আহত দুই ব্যক্তি ও অভিযুক্ত মতিউর রহমানের সাথে একটি ফৌজদারি মামলা চলে আসছিলো। এ মামলায় হাজিরা দিতেই আদালতে এসেছিলেন হামলায় আহত হওয়া মুহিবুর রহমান মানিক ও মো. ছনি মিয়া।