ঢাকা, সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কঠোর নিরাপত্তায় গাইবান্ধার ১৯ ইউপিতে ভোটগ্রহণ; সুন্দরগঞ্জ ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোট গ্রহন স্থগিত

Author Dainik Bayanno | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৪:০৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ও পলাশবাড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় ১৯টি ইউনিয়নের ১৮৬টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরমধ্যে শুধু পলাশবাড়ির মহদিপুর ইউনিয়নের ১২টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে এবং বাকি ১৭৪টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ব্যালট পেপারে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, ১৯টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ২২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ‌্যে চেয়ারম‌্যান পদে ১৪১ জন, সাধারণ সদস‌্য পদে ৭৬৩ এবং নারী সদস‌্য পদে ৩২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব ইউনিয়নে মোট ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা গেছে। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতির পাশাপাশি কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে সুষ্ঠ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ন হওয়া নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে ছিল নানা শঙ্কা। এছাড়া প্রভাব বিস্তার ও কেন্দ্র দখল করাসহ  পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ আছে অধিকাংশ প্রার্থীদের।

অন্যদিকে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বৌলজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ১০ থেকে ১২ রাউন্ড  গুলি বর্ষণ সহ  ভোট গ্রহন স্থগিত ঘটনা ঘটে এবং পলাশবাড়ি উপজেলার  মনোহরপুর ইউনিয়নের  নিমদাসের ভিটা সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয় একটি  ভোটকেন্দ্রে জাল ব্যালট পেপার সরবরাহের অভিযোগে ২ জন কে ১ বছরের  কারাদন্ড  দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত  বিচারিক   আদালত। সে সাথে পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় কর্তব্যরত পুলিশকে থাপ্পর মারার অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আশরাফ মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনা পূর্ববর্তী বক্তব্যে  সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার  কথা জানান  জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব।

তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কঠোর নিরাপত্তায় দুই উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ১৮৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।  উৎসব-উদ্দীপনায় কেন্দ্রে এসে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটগ্রহণ শুরুর পর কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা প্রার্থীদের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস‌্য দায়িত্ব পালন করছে। চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি পুরো নির্বাচনী মাঠে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ বিপুল সংখ‌্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস‌্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম‌্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম ছাড়াও একাধিক ভ্রাম‌্যমাণ মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছেন।