ঢাকা, মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জুলুমবাজমুক্ত হবে সিলেট-১ আসনের পূর্বাঞ্চল-এজাজ

রিমা বেগম, সিলেট : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেট-১ আসনের পূর্বাঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক। প্রতীক বরাদ্দের পর এই ৯টি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ক্লান্তিহীন কাজ করছেন তিনি।

 

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দৈনিক বায়ান্নের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ৯টি ওয়ার্ডের পুরো চিত্র পেয়েছেন। এই চিত্রের মধ্যে অন্যতম হলো সাধারণ মানুষের মনের কথা। অনেকে অভিযোগ করে প্রকৌশলী এজাজুল হককে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্বৃত্তরা সাধারণ মানুষকে নানানভাবে হয়রানী করে থাকে। সুবিধা আদায়ের জন্যে দুর্বৃত্তরা শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। দুর্নীতি হয় বিভিন্ন সেক্টরে। সিটি করপোরেশনের নাগরিক হিসেবে যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় সমস্যা হচ্ছে সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে নাগরিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যে এজাজুল হককে অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা।

 

এজাজুল হক জানান, সাধারণ মানুষের কথা তিনি শুনেছেন। তাদেরকে আশ^স্ত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে তাদের সকল সমস্যার সমাধানে সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করবেন। বিশেষ করে যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জুলম, হয়রানী, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো মূল্যে এই এলাকাকে জুলুমবাজমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর পদক্ষে নেয়া হবে। নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

 

এজাজুল হক বলেন, দাযিত্বপ্রাপ্ত ৯টি ওয়ার্ডের যেখানেই গেছেন, সেখানেই দেখেছেন দলের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। কর্মী আছে, শৃঙ্খলা নেই। এই অবস্থায় সুশৃঙ্খলভাবে এসব ওয়ার্ডের দলীয় কার্যক্রম সাজানো প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, ৯টি ওয়ার্ডের সেন্টার কমিটি গঠনের পাশপাশি সাধারণ মানুষের কাছে গেছেন নৌকার জন্যে ভোট চাইতে। সাধারণ মানুষ নির্বাচন ও নৌকা প্রতীক নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কিছু ভোটারের মধ্যে কিছুটা ভীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। কারণ ভোটের দিন যদি বিএনপি কোনো ধরণের নাশকতা করে। এজাজ বলেন, তিনি ভোটারদের আশ^স্ত করেছেন। ভোটের দিন হবে ভোট উৎসব। কোনো ধরণের সংঘাতের আশঙ্কা নেই। তবে ভোটারদের মধ্যে বিএনপির ভোট বর্জনের কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া নেই। তারা এনিয়ে চিন্তা করেন না। উপরন্তু অনেকে জানিয়েছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছে। তবে বিএনপিকে নিয়ে শঙ্কামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ। তারা ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে নিজে ধ্বংস হয়ে অন্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালায়। ভোটের দিন হয়তো দেখা যাবে নৌকা প্রতীকের প্রতিপক্ষকে বিজয়ী করতে তারা মাঠে নেমেছে। ব্যাপকহারে ভোট দিচ্ছে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্ব›িদ্ধকে। তাই আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে ছোট মনে করছে না। পরিস্থিতি আগে থেকেই স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক গণসংযোগের পাশপাশি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি পর্যাপ্ত বাড়াতে কাজ করছে। সর্বশেষ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে নৌকার বিজয় দ্বারপ্রান্তে।