ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রোজা রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। এ বছরও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা করছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লিরা।

ঈদ জামাতের আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াাডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার, চরপাড়া ও পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

রাজশাহীর কাটাখালি এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা ওয়াজেদ বলেন, আমরা জানি চাঁদ উঠার উপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে, একারণে আমি গতকালই এখানে আত্মীয়ের বাসায় আসছি ঈদের নামাজ পড়তে।

ঈদ জামাত পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা এবং ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা নবী  কারিম রাসুল (সা:) এর সুন্নাহ অনুসরণ করার জন্যই এই ঈদ জামাতের আয়োজন করা। এছাড়া ওআইসির নিয়মটাকে মান্য করি।

ঈদ জামাতের ইমাম রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর পৃথিবীর আকাশে প্রথম চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। যা সৌদি আরবের সাথে মিলে যায়।

তিনি বলেন, যদি কোন বিশ্বস্থ মুসলমান ভাই পৃথিবীর আকাশে নতুন চাঁদ দেখতে পাই তাহলে রোজা রাখতে হবে এবং একই নিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু পৃথিবীর আকাশে নতুন চাঁদ দেখা গেছে এজন্য আজ ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।

হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, হরিণাকুন্ডুতে তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে কিছু মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে যেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এবং সেখানে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যেদিয়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।