ঢাকা, শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
মাদারীপুর-৩ আসনে নির্বাচনী সভা

নৌকার কথা না শুনলে পুলিশকে থানা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৪:০৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের উসকানিমূলক বক্তব্য যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পরে বৃহস্পবিার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে জেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার এক নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এই সভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের কর্মী কামরুল হাসান সেলিম। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কামরুল হাসান সেলিমের বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা হলাম ড. আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার কেউ যদি বলে পা ভেঙ্গে ফেলবে, তাহলে আমাকে ফোন দিবেন, চর্তুদিক দিয়ে বল্লার মতো এসে ধরে ওকে শেষ করে দেয়া হবে, কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না? ভয় লাগে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। পুলিশ আপনাদের। যে পুলিশ হালায় কথা শুনবে না সেই পুলিশ হালাকে থানায় রাখব না, পরিষ্কার ভাষা। 

এব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকা প্রার্থী এবং তার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বিভিন্ন সভা-উঠান বৈঠকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভীতিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি ও নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

তিনি আরো বলেন, কামরুল হাসান সেলিমের উক্ত ভীতিকর, উসকানিমূলক এবং পুলিশ বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন, অশালীন বক্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হয়ে হয়েছে বলেও জানান তিনি । 

এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।