ঢাকা, সোমবার ১৩ মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজের ১৫ আগস্টের স্লোগান

এমএ রহিম, সিলেট: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১ এপ্রিল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানায় চাকরি জীবন শুরু করেন। কিন্তু কারখানায় কোনো বাসা বরাদ্দ পাননি। ওই অবস্থায় তিনি তাঁর আত্মীয়র বাসায় বসবাস করতে থাকলেন। সেসময় ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানায় ৯৫০ জনের জন্যে বাসা ছিল। কিন্তু কারখানায় চাকরি করতেন ১২৫০ জন। বাসা বরাদ্দ না পাওয়া ৩০০ জন চাকরিজীবি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। 

 

কর্মজীবনের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট আসে। সরদার আজিজ দেশের সার্বিক অবস্থা জানার জন্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করতেন। এজন্যে নিয়মিত পত্রিকা পড়তেন। প্যানাসনিক ব্রান্ডের একটি রেডিও কিনেছিলেন ১১০০ টাকায়। এই রেডিওতে নিয়মিত খবর শুনতেন। আগস্ট মাসে সরদার আজিজের ডিউটি ছিল সকাল সাতটা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। এজন্য ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিতেন। সকাল ৬ টার খবর শুনতেন। ১৫ আগস্ট সকাল ৬ টায় ওই রেডিওতে সরদার আজিজ শুনতে পেলেন অন্যরকম খবর। রেডিওতে শুনতে পেলেন, মেজর ডালিম বলছে ‘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছি।’ আরোসব অশালিন কথা বলছিলেন। অনবরত ওই বক্তব্য দিচ্ছিলেন মেজর ডালিম। অন্য কোনো খবর নেই। এই খবর শুনে কোয়ার্টার থেকে বের হন সরদার আজিজ। কারখানার অভ্যন্তরিণ রাস্তায় এলেন। দেখলেন শতশত মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। কেউ কেউ স্লোগান ধরেছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে। মেজাজ বিগরে যায় সরদার আজিজের। মাথায় রক্ত উঠে যায়। তিনি তখন একাই স্লোগান ধরলেন। বলতে থাকলেন বঙ্গবন্ধু মারা যাননি। সরদার আজিজের কন্ঠ অনেক মোটা হওয়ায় সেদিকে দৃষ্টি পড়ে অন্যদের। দুপুর পর্যন্ত এভাবে স্লোগান দিয়ে রাস্তার এক মাথা থেকে অপর মাথা পর্যন্ত ছুটতে থাকেন সরদার আজিজ। দুপুরের পর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়ে আসে। সরদার আজিজও তখন অনেক ক্লান্ত। মানুষজন দোকানপাট খুলতে থাকেন। 

 

সেদিন কারখানার সব ধরণের কাজ বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা নেমে আসার পর সরদার আজিজ বের হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাদের সন্ধানে। কয়েকজনকে পেয়েও যান। কিন্তু কেউ কোনো ধরণের নির্দেশনা দিতে পারছিলেন না। সবাই সরদার আজিজকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। গভীর রাতে কোয়ার্টারে ফেরেন তিনি। রেডিওতে একই ধরণের খবর প্রচার হচ্ছিল। কারখানা এলাকায় ছিল পুলিশ। ফেঞ্চুগঞ্জে ছিল থানা। কিন্তু কোনো পুলিশ থানা বা ফাঁড়ি থেকে বের হয়ে আসেননি। থমথমে অবস্থার মধ্য দিয়ে রাত কেটে যায়। পরদিন খবর প্রচার হলো সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সমাহিত করা হয়েছে। সারদিন একই খবর শুনে কেটে যায়। সন্ধ্যায় প্রায় ৪০০ পত্রিকা আসে কারখানা এলাকায়। তখন পত্রিকার দাম ছিল দুই আনা। মূহূর্তেও মধ্যে সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যায়। সরদার আজিজ পত্রিকা হাতে নিয়ে দেখলেন খুনি খন্দকার মোস্তাক দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। সরদার আজিজ পরে জানতে পারেন আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। কয়েকদিন যেতেই পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে আসে।  

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজের দাম্পত্য জীবন

 

১৯৭৮ সালে সরদার আজিজ সারকারখানার বাসা বরাদ্দ পান। তাও আবার ব্যাচেলার বাসা। জাপানি টিলায় কয়েকটি ব্যাচেলর কোয়ার্টার তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। তা বরাদ্দ করা হয় ব্যাচেলরদের মধ্যে। তার একটি বরাদ্দ পান সরদার আজিজ। ১৯৮১ সালে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান সরদার আজিজ। ২-১ দিন অবস্থানের পর পারিবারিকভাবে সরদার আজিজের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর থানার নিজরা গ্রামে। পাখিমারা গ্রাম থেকে ওই গ্রামের দূরত্ব ৮ মাইল। পায়ে হেঁটে যেতে হয়। নৌ পথ আছে। তাতে অনেক সময় লাগে। পায়ে হেঁটে সরদার আজিজ ওই গ্রামে গেলেন। কনে পছন্দ হলো। ওইদিনই বিয়ে হয়ে গেল। কনের নাম হাফিজা রহমান বিউটি। শ^শুর সেকেন্দর আলী খান এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিয়ের পরপরই নববধূকে নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন সরদার আজিজ ও পরিবারের লোকজন। ৩-৪ দিন বাড়িতে থাকলেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে রওয়ানা হলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের উদ্দেশ্যে। দুপুর ১২ টায় গোলাপগঞ্জ থেকে লঞ্চে রওয়ানা হন। পরদিন বিকেল তিনটায় পৌঁছেন ঢাকার সদরঘাটে। 

 

রাত ৮ টায় কমলাপুর থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সুরমা মেইল। এই সময়টুকু বিশ্রাম করার জন্যে সদরঘাটের শংকর বোর্ডিংয়ে উঠলেন। সেসময় বোর্ডিংটি অনেক নামকরা ছিল। ওই হোটেলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিলেন। সন্ধ্যা ৬ টায় রওয়ানা হলেন কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে। রেলস্টেশনে পৌঁছে টিকেট করেন দ্বিতীয় শ্রেণির। ওই সময় ট্রেনে পুরুষ ও মহিলাদের জন্যে পৃথক কম্পার্টমেন্ট ছিল। মহিলারা ভ্রমণ করতে পারতেন না পুরুষের কম্পার্টমেন্টে। একইভাবে পুরুষরা ভ্রমণ করতে পারতেন না মহিলাদের কম্পার্টমেন্টে। এই অবস্থা আগে থেকেই জানতেন সরদার আজিজ। তিনি নিজ স্ত্রীকে বোর্ডিংয়ের মধ্যে পুরুষের পোষাক পরিধান করালেন। কেউ যাতে বুঝতে না পারেন সেজন্যে যা যা করণীয় তার সবই করেছিলেন সরদার আজিজ। সরদার আজিজ ও পুরুষবেসে স্ত্রী ট্রেনে উঠলেন। তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে অভিজাত যাত্রীরা ভ্রমণ করতেন। তবে আসন ছিল বেঞ্চের মত্।ো ট্রেনে উঠেই এক কোণার আসনে বসালেন পুরুষবেসি স্ত্রীকে। পাশে বসলেন সরদার আজিজ। পরদিন সকাল ৮ টায় মাইজগাঁও পৌঁছলেন। দুইটাকা দিয়ে একটি বেবিটেক্সি ভাড়া করে পৌঁছলেন কোয়ার্টারে। শুরু হয় দাম্পত্য জীবন। ব্যাচেলার থাকা অবস্থায় সরদার আজিজ নিজেই রান্না করে খেতেন। ফলে ঘরে আগে থেকেই ইলেকট্রিক চুলাসহ রান্না ঘরের সব ধরণের হাড়ি পাতিল ছিল। এতে করে রান্না ঘরের নতুন কোনো ধরণের জিনিস পত্র কিনতে হয়নি।  প্রসঙ্গত জাপানি টিলার সবকটি ব্যাচেলার কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন অন্য সদস্যরা। 

 

 

সরদার আজিজ দম্পতির প্রথম সন্তান সুপন 

 

১৯৮৩ সালে ৬ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজুর রহমান দম্পতির প্রথম সন্তান সরদার আমিনুর রহমান সুপনের জন্ম হয়। ভোর ৫ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা হাসপাতালে সুপনের জন্মে পর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যদের মাঝে। প্রসূতি মায়ের পাশে ছিলেন সরদার আজিজের শ^াশুরি। সকাল হতেই প্রতিবেশিদের ঘরে ঘরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মায়ের গর্ভে সুপনের বয়স যখন ৭ মাস তখনও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। জন্মেও তিন মাস বয়সের সময় খাসি জবাই করে আকিকা করা হয়। এ সময় উভয় পরিবারের সদস্যরা ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। 

 

৬ মাস বয়সে মুখে ভাত দেয়ার সময় আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিলের। চঞ্চল প্রকৃতির সুপনের মুখে বুলি ফোটে এক বছর বয়সে। সেসময় থেকে তাকে বাল্য শিক্ষা দেয়া শুরু হয়। বাল্য শিক্ষায় আরবি, বাংলা ও ইংরেজি অক্ষর জ্ঞান দেয়া হতো। ৬ বছর বয়সের মধ্যে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলোর জ্ঞান মোটামুটি রপ্ত করে ফেলেন সুপন। ৬ বছর বয়সে ফেঞ্চুগঞ্জ ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফেক্টরি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় সুপনকে। এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সিলেট পলিট্যাকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। পরবর্তীতে কম্পিউটার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন। 

 

কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার ২-৩ বছরের মাথায় সুপন ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন। সিলেট নগরীর আম্বরখানাস্থ বড়বাজার রাস্তার মুখে কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টারের পাশাপাশি ট্রেনিং সেন্টার খোলেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয় ইউনিক কম্পিউটার। বছর না পেরুতেই আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় ইউনিক কম্পিউটার। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে খোলা হয় বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটের ৫ম তলায়। এখন ইউনিক কম্পিউটারের দুইটি শোরুম রয়েছে করিম উল্লাহ মার্কেটের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায়। এছাড়া ৬ষ্ঠ তলায় রয়েছে ইউনিক কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টার। কম্পিউটার ব্যবসায় নগরীতে প্রথম শ্রেণির তালিকায় রয়েছে সুপনের ইউনিক কম্পিউটার। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী আখিঁ এবং মেয়ে সায়মা রহমান ও সাফিয়া রহমানকে নিয়ে সংসার জীবনে সুখি পরিবার সরদার আমিনুর রহমান সুপনের। 

 

দ্বিতীয় সন্তান আবিদা সুলতানা

 

১৯৮৪ সালের ৩ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা হাসপাতালে সরদার আজিজুর রহমান দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান ও প্রথম কন্যা আবিদা সুলতানার জন্ম হয়। আবিদা সুলতানার জন্মের সময় সরদার আজিজের শ^াশুরি ও চাচি ছিলেন প্রসূতির পাশে। আবিদা সুলতানার জন্মের পর মিষ্টি বিতরণ করা হয় প্রতিবেশিদের মধ্যে। এক বছর বয়স থেকে আবিদা সুলতানাকেও বাল্য শিক্ষা দেয়া শুরু হয়। ৫ বছর বয়সে আকিকা করা হয় আবিদা সুলতানার। ৬ বছর বয়সে সারকারখানা স্কুলে ভর্তি করা হয়। শিশু বয়স থেকেই আবিদা সুলতানা অনেক শান্ত শিষ্ট ছিলেন। অন্য কোনো শিশুর সাথে মিশতে চাইতেন না। একাকি খেলাধূলা করতেন। সারকারখানা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন ফেঞ্জুগঞ্জ কলেজে। এখানে অধ্যায়নরত অবস্থায় খালাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয় যায় আবিদা সুলতানার। স্বামীর সাথে গোলাপগঞ্জে বসবাস করেন আবিদা সুলতানা।

 

তৃতীয় সন্তান আলিমা সুলতানা রূমা

 

১৯৯১ সালের ১২ জুলাই রাত ১২ টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা হাসপাতালে সরদার আজিজুর রহমান দম্পতির তৃতীয় সন্তান আলিমা সুলতানা রূমা জন্ম গ্রহণ করেন। রূমার জন্মের সময় পরিবারের সদস্যরা প্রসূতির পাশে ছিলেন। রূমার জন্মের পর মিষ্টি বিতরণ করা হয় প্রতিবেশিদের মধ্যে। এক বছর বয়স থেকে রূমাকেও বাল্য শিক্ষা দেয়া শুরু হয়। ৬ বছর বয়সে সারকারখানা স্কুলে ভর্তি করা হয় রূমাকে। শিশু বয়স থেকেই তিনি অনেক শান্ত শিষ্ট ছিলেন। অন্য কোনো শিশুর সাথে মিশতে চাইতেন না। একাকি খেলাধূলা করতেন। সারকারখানা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে। এখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এমসি কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এখন তিনি ঢাকায় ইউরোপিয়ান বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগে কর্মরত আছেন। 

 

জমজ সন্তান রূপা ও রুবি

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজুর রহমান দম্পতির জমজ সন্তানের জন্ম হয় ১৯৯৯ সালে। জমজ দুই সন্তানই কন্যা। এই জমজ সন্তানের জন্ম এক ঘন্টার ব্যবধান হওয়ায় তাদের জন্ম তারিখও পাল্টে যায়। আরিফা সুলতা রূপার জন্ম হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ২০ আগস্ট রাত সোয়া ১১ টার দিকে। জমজ অপর বোন আফরোজা সুলতানা রুবির জন্ম হয়েছিল রাত সাড়ে ১২ টার দিকে। এজন্যে জন্ম তারিখ হয়ে যায় ১৯৯৯ সালের ২১ আগস্ট। এক ঘন্টার ব্যবধানে জন্মের কারণে শিক্ষা জীবনেও ছোট বোন রুবি এক বছর পিছিয়ে আছেন। আরিফা সুলতানা রূপা ফেঞ্চুগঞ্জ সারখানা স্কুল থেকে এসএসসি ও ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে এই কলেজে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত আছেন তিনি। আফরোজা সুলতানা রুবিও ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা স্কুল থেকে এসএসসি ও ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত। জমজম দুই বোনের বয়স এক বছর পার হতেই মুখের বুলি ফোটে। ওই সময় থেকেই তাদেরকে বাল্য শিক্ষা দিতে শুরু করেন মা-বাবা উভয়ে। জমজ দুই সন্তানকে সামাল দেয়ার জন্যে এক মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত জমজ দুই সন্তানের দেখভাল করেছেন ওই মহিলা। সরদার আজিজ ওই মহিলাকে নিজের সন্তানের মতো দেখতেন।