ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হরিনাকুন্ডুতে শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

হরিনাকুন্ডু ( ঝিনাইদহ ) প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৬ অগাস্ট ২০২৩ ০১:৫১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডুতে এক মহিলার সাথে  এক শিক্ষকের অবাধ যৌনাচারের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও শহর, এলাকার সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
 
জানা যায়, উপজেলার তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর অবাধ যৌনাচারের অন্তত ৫ টি অশ্লীল ছবি শহর ও গ্রাম অঞ্চলের সচেতন প্রায় সকল মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে।
 
এদিকে, স্কুল শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষকের এ ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে ।
 
অপরদিকে, অনৈতিক কাজে লিপ্ত শিক্ষককে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বরখাস্ত অথবা বহিষ্কার না করায় বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
 
বিয়ে বহির্ভূত অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত এবং সেটা ভাইরাল হয়ে শহরে ও গ্রামগঞ্জের সব মানুষের কাছে থাকার পরও তিনি কিভাবে তার দায়িত্বে বহাল থাকেন সে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। এবং এই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন সচেতন মহল, বা সুশীল সমাজ।
 
অপরদিকে, একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ওই শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না।  এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষকের ক্লাস বর্জন করেছেন বলে জানা যায়।
 
তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কোনো শিক্ষক এমনটা করতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমাদের এমন একজন সহকর্মী আছে এটা ভাবতেই আমরা লজ্জা পাচ্ছি। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। 
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, ভাই যা হবার হয়ে গেছে। আমার ইজ্জত সম্মান আপনি বাচান।
 
এ বিষয়ে তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, এখন পযন্ত কোন অবিভাবক আমাকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। ভাইরাল ছবির মেয়েটা তো বিদ্যালয়ের কেউ না। তাহলে অবিভাবকরা কেন তাদের সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাবে। তবে এমন শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকাটা অস্বস্তির ।
 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ বারী বলেন, বিষয়টি এ ধরনের হয়ে থাকলে তা খুবই খারাপ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে আমি দ্রুত কথা বলে কি ব্যবস্হা গ্রহন করা যায় তা দেখব।