রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসেও ভাষণ দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন ও জেলেনস্কি।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যতদিন প্রয়োজন ততদিন জেলেনস্কিকে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে থাকবে। ’
জেলেনস্কিকে বাইডেন বলেন, ‘আপনি একা নন। আন্তর্জাতিক জোটকে একসঙ্গে রাখার বিষয়ে আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত না। ’
তিনি ইউক্রেনের সহায়তার জন্য দুই বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন প্যাকেজ নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে আরও ৪৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পুতিনের সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো ইচ্ছা নেই।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইউক্রেনকে মানবিক, আর্থিক ও নিরাপত্তা সহায়তার জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এটি অনেক বেশি।
এদিকে ওয়াশিংটনের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর ৪৪ বছর বয়সী ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন। অধিবেশনে তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এখনও সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। আগামী বছর এ সংঘাত একটি মোড় নিতে পারে।
ইউক্রেন কখনই আত্মসমর্পণ করবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে আর্টিলারি আছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট না। এজন্য আমাদের আরও অস্ত্রের প্রয়োজন। রুশ সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার জন্য আরও কামান ও শেল প্রয়োজন। ’
বক্তব্য শেষ করে, জেলেনস্কি বাখমুত শহরের সেনাদের স্বাক্ষরিত একটি যুদ্ধের পতাকা কংগ্রেস অধিবেশন উপস্থাপন করেন।