মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই ইরানে হামলা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার ভোররাত থেকে রাজধানী তেহরান এবং তার আশপাশের এলাকাগুলো মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে বলে জানিয়েছে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত ০১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান, তার জবাব দিতে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করবে— এমন আশঙ্কা অবশ্য ০১ অক্টোবরের হামলার পর থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছিল আন্তর্জাতিক ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। সেই আশঙ্কা সত্য হলো। আইডিএফের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা পরিচালনা করছে আইডিএফের বিমান বাহিনী।
তবে ইরানভিত্তিক বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরাইল তেহরানের সামরিক ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছে। তেলের খনি সম্পর্কিত কোনো অবকাঠামোতে হামলা হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টােবর) এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
ইরানের আধা-সরকারি ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ‘তেহরানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ইসরাইলি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে’।
ইরানি সংবাদমাধ্যম আরও বলেছে, ‘রাজধানীর দক্ষিণে একটি তেল শোধনাগারে আগুন বা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি’।
অন্যদিকে তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ‘তেহরানের তেল শোধনাগারে আগুন বা বিস্ফোরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তেহরানের বিমানবন্দরগুলোতে কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত রয়েছে।
তবে অন্য আরেক ঘোষণায় ইরান জানিয়েছে, দেশটির সব রুটে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
অন্যদিকে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক ফোদ ইজাদি ইরানের রাজধানী থেকে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহর এখন খুব শান্ত’
‘এখন তেহরানে ভোর ৪টা এবং আমরা বাইরে কিছু ঘটছে, বা কোনো কার্যকলাপ বা আন্দোলন দেখতে পাচ্ছি না’।
‘সুতরাং শহর স্বাভাবিক হিসাবে কাজ করছে এবং যদি আমাদের ওপর কোনো আক্রমণ হয়েও থাকে, আমি মনে করি সেগুলো এত বড় ছিল না’।
বায়ান্ন/এসএ