প্রথম ইনিংস শেষেই প্রশ্নটা সামনে চলে এসেছিল। এই রান যথেষ্ট হবে তো? নাকি হেরে গিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে? পুঁজিটা মাত্র ১৮৪ রানের। প্রথম ম্যাচে যে এর চেয়ে বেশি রান তুলেও ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ!
প্রথম ম্যাচে না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হলো। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল স্বাগতিক উইন্ডিজকে বেঁধে ফেলল ১২৪ রানে। আর তাতে ৬০ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বকাপের স্বপ্নটাও টিকে রইল আরও এক দিনের জন্য।
বাংলাদেশ পুরুষ দলের দুর্বলতা যেখানে, সেই টপ অর্ডার আবার নিগারদের শক্তির জায়গা। প্রথম ম্যাচে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা, এনে দিলেন দ্বিতীয় ম্যাচেও। উদ্বোধনী জুটি থেকে এল ৩৫ রান।
১৮ রান করা ফারজানা হক পিংকির বিদায়ের পর অবশ্য কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার মুরশিদা ১২ আর তিনে নামা শারমিন বিদায় নেন ১১ রানে।
দলের বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার। তার ৬৮ রানের ইনিংসই দলকে দিশা দিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। তাকে কিছুটা সময় সঙ্গ দিয়েছেন সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তাররা। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৩ ও ২১ রান। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পারে ১৮৪ রান।
উইন্ডিজের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন কারিশমা রামহারক, তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩ উইকেট যায় আলিয়া এলিনের ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট শিকার করেন দিয়েন্দ্রা ডটিন, শেরি-অ্যান ফ্রেজার ও আফি ফ্লেচার।
প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের ওপেনিং জুটিই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। তবে আজ বুধবার তাদের দাঁড়াতেই দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ম্যাথিউস করেন ১৮, ইনিংস সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন শেমেইন ক্যাম্পবেল। এলিন ১৫ ও শেরি-অ্যান করেন ১৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার। ২টি করে উইকেট ভাগ করেছেন মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।
বায়ান্ন/এসএ