ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডটির একটি শরণার্থী শিবির ও আবাসিক বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পৃথক এই হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়।
ইসরায়েলি এ হামলায় মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ১১ জন এবং রাফাহতে আবাসিক বাড়িতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
আল জাজিরা জানায়, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ ছাড়া এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানায়, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের এ বিমান হামলায় চার শিশুসহ সাতজন নিহত হন।
আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানান, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে মানুষের কাজ ও ব্যস্ততার সময়ে ইসরায়েল এই হামলাটি চালায়। হামলায় সেখানকার একটি খেলার মাঠও আক্রান্ত হয়। যেখানে প্রায়ই বাস্তুচ্যুত শিশুরা চলাচল করে। ইসরায়েলি এই হামলায় আহত ‘কয়েকজন’ মানুষকে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৪৩ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৫৭৫ জন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।