বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়াল। গত সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানান, তার দেশে ১৬ হাজার ৫৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে তিনি জানান, ৬ হাজার ৪০০ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলে আগামী এক বছরের মধ্যে তিন-চারতলা ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে দেশটিতে এক হাজার ২৬২ জন নিহত হয়েছেন। আর উদ্ধারকারী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেট বলেছে, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে অন্তত এক হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার ভূমিকম্পে আঘাত হানা অঞ্চল কাহরামানমারাস পরিদর্শন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একইদিন তুরস্ক থেকে এক উদ্ধারকর্মী জানিয়েছিলেন সে দেশে মরদেহ বহনের জন্য যথেষ্ট ব্যাগ নেই। অন্যদিকে সিরিয়ার অনেক জায়গায় মরদেহগুলোকে গণকবর দেওয়া হচ্ছে।
ভূমিকম্পে দুই দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগে বলেছিল, হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশ ত্রাণ ও সহযোগিতা নিয়ে এই দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে।