সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পূর্ব ইউরোপের নয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় ওই রাষ্ট্রগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এই দেশগুলোকে বলা হয় বুখারেস্ট নাইন।
পূর্ব ইউরোপের এই নয়টি দেশ হলো- বুলগারিয়া, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। পোল্যান্ড ছাড়ার আগে এই নয় দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন।
বৈঠকে ওই নয় দেশের নেতাদের বাইডেন বলেছেন, ‘আমি আগেও অনেকবার জানিয়েছি, ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ।’
মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট ওই নয় দেশের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘ন্যাটো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পালন করবে।’
অবশ্য পূর্ব ইউরোপের এই নয় দেশ ইউক্রেনকে বাড়তি সামরিক সাহায্য দেওয়ার পক্ষে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য এটা জরুরি। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট আলোচনার পর জানিয়েছেন, তিনি বাল্টিক দেশগুলোকে আরো সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি অত্য়াধুনিক কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এই দেশগুলোতে মোতায়েন করার জন্য বলেছি। যেমন, এয়ারস্পেস নজরদারি ব্যবস্থা, হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক কামান। এই দেশগুলোতে ওই সামরিক সরঞ্জাম রোটেশনের ভিত্তিতে মোতায়েন করার অনুরোধ জানিয়েছি।’
রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর বুখারেস্ট নাইন গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। তাই তিনি আসেননি, বাইডেনের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাতালিন নোভাক।
এই নয় দেশের আশঙ্কা, ইউক্রেনের পর রাশিয়া তাদেরও আক্রমণ করতে পারে। তাই তারা যুদ্ধ শেষ করতে চাইছে না।
এদিকে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, পুতিন যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, তা ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা বড় ভুল।
পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইইউয়ের উচিত প্রতিরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো। তাহলে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে ইউরোপকে রক্ষার খরচটা ভাগাভাগি হয়ে য়াবে। ইউরোপও রক্ষা পাবে।