ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুলাই) একটি উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী গোষ্ঠী এই কাজ করেছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ডেনমার্কের রাজধানীতে ইরাকি দূতাবাসের সামনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেন একদল লোক।
ইরাকি দূতাবাসের সামনে দ্বিতীয়বারের মতো কোরআন পোড়ানোর এই ঘটনা ইরাক ও ডেনমার্কের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও অবনতির নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) কোপেনহেগেনে ‘ড্যানিশ প্যাট্রিওটস’ নামের উগ্রপন্থী ওই গোষ্ঠী পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি ইরাকের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা গোষ্ঠীটির ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশি পাহাড়ায় ইরাকি পতাকা ও পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে ড্যানিশ প্যাট্রিওটসের সদস্যরা।
গত মাসে সুইডেনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছিলেন সালওয়ান মোমিকা নামের এক ব্যক্তি; তিনি ইরাকি-বংশোদ্ভূত সুইডিশ শরণার্থী।
সুইডেন এবং ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। শুক্রবারও বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। শনিবারও ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হাজার হাজার মানুষ কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তারা মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। একই সঙ্গে স্টকহোমে নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘিরে ইরাক-সুইডেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চরম অবনতির মাঝে ইরাকের সরকার ওই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।