পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস না যেতেই সরে যেতে হলো তাকে। খবর এএফপির।
১৯৬২ সালের পর কোনো ফরাসি সরকারের এভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা ভোটে হারের পর পার্লমেন্টের স্পিকার ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট বলেন, বার্নিয়েরকে এখন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে, বিশেষ ক্ষমতাবলে বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করে তোপের মুখে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। এমপিদের ভোট ছাড়াই বিল পাস করায় প্রধান বিরোধী দল ও বামপন্থি দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ পদচ্যুতিতে সৃষ্ট গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুযেল ম্যাক্রোঁ।
উল্লেখ্য, গত জুন-জুলাইয়ে ফ্রান্সে আগাম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে দেশটির পার্লামেন্ট।
আগাম নির্বাচনের প্রায় দুই মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেল বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ডানপন্থি রিপাবলিকান (এলআর) দলের প্রবীণ সদস্য বার্নিয়ের রাজনৈতিক জীবন বেশ দীর্ঘ। ফ্রান্স ও ইইউ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সিনিয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৭৩ বছর বয়সী বার্নিয়ে ইইউর ব্রেক্সিটবিষয়ক প্রধান আলোচক ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন তিনি।
বায়ান্ন/একে