গ্রিসে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বরাত দিয়ে আল জাজিরা ও সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে লারিসার পাশে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, এথেন্স থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকির দিকে এবং থেসালোনিকি একটি পণ্যবাহী ট্রেন লারিসের দিকে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে গভীর রাতে লারিসার কেন্দ্রীয় শহরের বাইরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তারা রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষে জীবিতদের সন্ধান করছে।
থেসালি অঞ্চলের গভর্নর কনস্তান্তিনোস অ্যাগোরাস্তোস স্কাই টিভিকে বলেছেন, ‘সংঘর্ষটি খুবই শক্তিশালী ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রথম চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দুটি বগি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। ’
অ্যাগোরাস্তোস আরও জানিয়েছেন, ট্রেনের ভেতর থেকে প্রায় ২৫০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাসে করে তাদের থেসালোনিকি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্কাই নিউজের ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনের দুটি বগির ধ্বংসাবশেষ ট্র্যাকের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিধ্বস্ত বগির ভেতর কেউ আটকে আছেন কিনা, ক্ষমতাসম্পন্ন টর্চলাইট নিয়ে সেটি দেখছেন উদ্ধারকারীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওনলারিসা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে প্রায় ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
ল্যাজোস নামে এক যাত্রী প্রোতোথেমা পত্রিকাকে বলেছেন যে, অভিজ্ঞতাটি ‘খুবই মর্মান্তিক’ ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি আহত হইনি। তবে আমার কাছাকাছি আহত অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ’
স্থানীয় গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেনে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন ভ্রমণ করছিলেন।
ফায়ার ব্রিগেডের মুখপাত্র ভ্যাসিলিস ভার্থকোগিয়ানিস টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘সংঘর্ষের তীব্রতার কারণে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে চলছে। ’