বিষ্ণুপুর জেলায় নিহত এ তিনজন রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের জাতিগত দাঙ্গা কবলিত মণিপুর রাজ্যে নতুন সহিংসতায় তিনজন নিহত ও বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিষ্ণুপুর জেলায় যে তিনজন নিহত হয়েছেন তারা রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী মেইতেইরা সম্প্রতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মর্যাদা দাবি করেছে। এই নিয়ে সংখ্যালঘু জনজাতি সম্প্রদায় কুকিদের সঙ্গে তাদের জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এসব দাঙ্গা ও সহিংসতার ঘটনায় কয়েকশ মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
কুকি সিভিল সোসাইটি গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সর্বশেষ এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।
গত দুই দিন ধরে মণিপুরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে পুলিশের অন্তত দু’টি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকসহ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। পশ্চিম ইম্ফলে আরেক ঘটনায় গোলাগুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, মণিপুরের পাহাড়ি ও উপত্যকার জেলাগুলোতে মোট ১২৯টি চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ১০৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী মণিপুরে ৩ মে থেকে জাতিগত সহিংসতা চলছে। তারপর থেকে ৩২ লাখ অধিবাসীর এই ভারতীয় রাজ্যটিতে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।