যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে, এটা নিয়ে ভারতের অবস্থান তাদের নিজস্ব। তবে ওয়াশিংটন চায়, দিল্লি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলুক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২০ জুন) স্টেট ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জন কিরবির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগের পাশে থাকবে কি না।
জবাবে জন কিরবি বলেন, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করেছে এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করার জন্য একটি ভিসানীতি গ্রহণ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতেই পারে।
তিনি বলেন, তাই আমি শুধু আমাদের কথাই বলতে পারি। আর আপনারা জানেন যে, আমাদের অবস্থান কোথায়। আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট এবং সেটা আমরা জনসমক্ষে বলেছি।
জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বের যেখানেই যান বা নেতাদের সঙ্গে যখন কথা বলেন, তিনি মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। মানবাধিকার এ প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির একটি মৌলিক উপাদান। সেক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো বন্ধু এবং অংশীদারের সঙ্গেও এটা করতে পারেন।