জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যেতো শেষ ষোলর টিকিট, এমন ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে চিরচেনা ফুটবলটা খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইংলিশদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে ১১ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের শুরু থেকেই লড়েছে সমানে সমান। তাই শেষটায় ফলাফল ও এসেছে সমান সমান। আর তাতে আগেভাগেই শেষ ষোল নিশ্চিত করা হল না হ্যারি কেন-মার্কাস র্যাশফোর্ডদের।
আল বায়াত স্টেডিয়ামে শুক্রবার ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
আগেভাগে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে না পারলেও এই ড্রয়ে ক্ষতি নেই ইংল্যান্ডের। বি গ্রুপের লড়াইয়ে এখনও সবার উপরেই থাকছে ইউরোর রানার আপরা। এক ম্যাচ জিতে তাদের পরেই আছে ইরান। দুই ম্যাচের দুটিতে ড্র করে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় আর এক পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ওয়েলস।
ইরানকে ৬ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে আসর শুরু করা ইংল্যান্ড এখানে এগিয়ে যেতে পারত দশম মিনিটে। কিন্তু হ্যারি কেনের শট ওয়াকার জিমারম্যানের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
২৫তম মিনিটে সুযোগ আসে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন জুভেন্টাস মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি। সাত মিনিট আবারও ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
৪৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন গত ম্যাচের জোড়া গোলদাতা সাকা। কিন্তু ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শট নেওয়ার যথেষ্ট জায়গা না পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে আবারও ইংল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়ায় পুলিসিক-ম্যাককেনিরা। অবশ্য তাদের খেই হারাতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কয়েকটি ভালো আক্রমণ করলেও ইংলিশদের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি দলটি।