ভারতের কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পাঁচ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। কাশ্মীরের ভীমবের গলি থেকে পুঞ্চের দিকে পাহাড়ি রাস্তায় যাচ্ছিল আর্মির ট্রাক। ওই সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালায়। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের খোঁজে ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
জম্মুর প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেনান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে ভীমবের গলি থেকে পুঞ্চের দিকে যাচ্ছিল আর্মির ট্রাকটি। ওই সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সুযোগে তারা হামলা চালায়। গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। মনে করা হচ্ছে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল।
রাজৌরির গ্যারিসন হাসপাতালে সেনাদের মরদেহগুলো নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এক সেনা গুরুতর আহত। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে এলাকায় আর্মি ট্রাকের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল সেটা বরাবর পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ওই স্থানে হামলা চালানো হয়।
তবে এখানে সন্দেহজনক সন্ত্রাসীরা আনাগোনা করছে বলে খবর এসেছিল। স্থানীয় এক শিক্ষক জানিয়েছেন, এখানে গভীর জঙ্গল রয়েছে। একাধিক প্রাকৃতিক গুহা রয়েছে। সন্ত্রাসীরা সহজেই লুকিয়ে পড়তে পারে। জম্মু-পুঞ্চ হাইওয়ে এখান দিয়েই গেছে।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছে আর্মির ট্রাক। এক সেনার মাথায় সম্ভবত আঘাত লেগেছে।
ঘটনার খবর পেয়েই ১৩ সেক্টর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডার, পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয়রাই প্রথমে পুলিশে খবর দেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে গত বছর কাশ্মীরের কাছে কাটরাতে তীর্থযাত্রী বোঝাই একটা বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। ওই সময় চার তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়। ২২ তীর্থযাত্রীর আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। এরপর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, স্পেশাল স্কোয়াড এই আগুনের পেছনে ছিল। তারাই আইইডি ব্লাস্ট করেছিল।
২০২১ সালের অক্টোবরে এই এলাকার কাছাকাছি ৯ সেনার ওপর হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।