ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

কুশিয়ারা তীর পর্যটন খাত পরিণত করার পরিকল্পনা ভিপি শামীমের হাতে

এমএ রহিম/জুবের আহমদ, সিলেট: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৫৯:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন



সিলেটের শেরপুরের কুশিয়ারা নদীর তীর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সাজিয়ে তোলার মাস্টার প্লান গ্রহণ করেছেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি শামীম। যে পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ওই এলাকার পুরো চিত্র পাল্টে যাবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি।

এলাকার উন্নয়নে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি শামিম ওই কথা জানান দৈনিক বায়ান্নকে।

গত বছরের ২ নভেম্বর এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেন তিনি। ৪ ডিসেম্বর শফথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রবাসী অধ্যুষিত ওসমানীনগর নিয়ে নানান পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। সৃষ্টিশীল এই নেতা ভিপি শামীম নদী, নালা, খাল, বিল, হাওর, বাওরে সমৃদ্ধ ওসমানীনগরকে সাজাতে চান ছবির মতো করে।

ভিপি শামীম জানান, ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে তা হয়নি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অগ্রাধিকার দিয়েছেন পর্যটন খাতকে। তিনি বলেন এই উপজেলার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। প্রবাসী ওই জনগোষ্ঠী মাটির টানে দেশে আসেন। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে বিনোদনের কোনো সুযোগ না থাকায় তাঁরা অনেকটা অবসাদের মধ্যে সময় কাটান। এছাড়া শেরপুরে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে অর্থনৈতিক জোন। এই জোনে হাজার হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী কাজ করবেন। তাদের বিনোদনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।

ভিপি শামীম বলেন, ওই অবস্থায় তাঁর প্রথম কাজ হবে এলাকার পর্যটন খাতে হাত দেয়া। এজন্যে তিনি কুশিয়ারা নদীর তীর বেছে নিয়েছেন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্যে। নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার মাস্টার প্লান রয়েছে হাতে। ওয়াকওয়েকে কেন্দ্র করে নদীর তীরে শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ রোপণ করা হবে। যেসব গাছ থেকে অর্থনৈতিক সফলতা আসবে। কুশিয়ারা নদীর তীর দৃষ্টিনন্দন করতে একটি টাওয়ার করা হবে। যে টাওয়ার আলোক সজ্জায় সজ্জিত থাকবে। এই টাওয়ারটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দিয়ে তৈরির করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া নদীর কোল ঘেঁষে অবকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে এখানে।