ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৭:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (১৬ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে বেসামরিক লোকজনকে হত্যার নিন্দা জ্ঞাপনের পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্তি, মানবিক সহায়তা করিডোর গঠন এবং বেসামরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য সেফ প্যাসেজের দাবিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

 

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপনের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ৪টি রাষ্ট্র এর পক্ষে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অপর ৪টি রাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দেয়। আর বৈঠকে উপস্থিত অপর ছয়টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন।

 

 

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, আমাদের রেজোল্যুশন পাস হয়নি, তবে এর মধ্যে দিয়ে এই যুদ্ধ নিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় হলো নিরাপত্তা পরিষদ। যদি আমরা উদ্যোগ না নিতাম, সেক্ষেত্রে সবকিছুই কেবল আলাপ-আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত।

 

অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে ব্রাজিল একটি রেজোল্যুশন উত্থাপন করেছে। যা রাশিয়ার তুলনায় বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ব্রাজিলের সেই রেজোল্যুশনে হামাসের প্রতি নিন্দা জানানো হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

 

এরপর টানা ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল যেমন গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে, তেমনই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরেও রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস। চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এরমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি এবং ২ হাজার ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে।