চট্টগ্রাম চাঁদাবাজদের হাতেনাতে গ্রেফতারে মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজির প্রাক্কালে ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করেন র্যাব।
জানা যায়, চট্টগ্রামের ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ উপায়ে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা থেকে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা তোলেন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। র্যাবের অভিযানে এবার গ্রেফতার করলেন সেই সিন্ডিকেটের সড়ক থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী ৩০জনকে।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩ জন, একই থানাধীন বালুর টাল এলাকা থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৪ জন, পাহাড়তলী থানাধীন হোটেল মেরিন সিটি এর সামনে থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় হতে ০৩ জন এবং বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় হতে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও ট্যাম্পু থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৬ জনসহ সর্বমোট ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১,৫৬৩/- টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজদের দেয়া তথ্য মতে, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদার এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেন র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিক্সা হতে মাসিক ১,০০০ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা এবং মোঃ আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। চান্দগাঁও থানার বালুর টাল এলাকায় রুবেল @ইয়াবা রুবেল এবং মিজান এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের সুত্রে জানা যায়, তারা প্রতিদিন ৩০/- টাকা করে আনুমানিক ২০০টি ট্রাক থেকে ৬,০০০/- টাকা চাঁদা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ সবুর এবং শফিক নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। পাহাড়তলী থানা এলাকায় মোঃ পেয়ার আহম্মেদ এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা টমটম/সিএনজি থেকে মাসে ৮০০/- করে ৮০, ০০০/- টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়নদে এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস থেকে প্রতিদিন ১০০/-টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ সমু এবং নিপু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকায় মোঃ সোহেল এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক ৮০০/- টাকা করে ৮০, ০০০/- চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।