বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ত্রিপুরার জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আগরতলা-ঢাকা এবং আগরতলা-চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রুটে চলাচল করতে ইচ্ছুক বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর কাছে শিগগিরই দরপত্র পাঠাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।
শনিবার এক টুইট বার্তায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবশেষে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা চালু করতে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম (এমবিবি) বিমানবন্দর প্রস্তুত। ত্রিপুরার জনগণের স্বপ্ন পূরণের এই উদ্যোগের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
অপর এক টুইটে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বাংলাদেশের সাথে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা ত্রিপুরার পর্যটনকে নিশ্চিতভাবে উৎসাহিত করবে এবং আকাশপথের যোগাযোগে রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশের জনগণকে বিভিন্নভাবে উপকৃত করবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মিশ্র বলেছেন, ইউডিএএন প্রকল্পে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক রুটগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এখন বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোকে আগ্রহ প্রকাশের আমন্ত্রণ জানিয়ে দরপত্র পাঠাবে; যারা দু’টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে মহারাজা বীর বিক্রম (এমবিবি) বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা শুরু হবে বলে আশা করছেন সঞ্জয় মিশ্র। এমবিবি বিমানবন্দরের পরিচালক রাজিব কাপুর বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমবিবি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সাথে কথা বলেছেন।
‘এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা কখন চালু হবে সে বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে আমরা ফ্লাইট চালু করার জন্য প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৪ জানুয়ারি নতুন টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করেছেন। এই ভবনে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য কাস্টমস থেকে অভিবাসন এবং আগমন ও প্রস্থানের জন্য পৃথক সুবিধা রয়েছে।