পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় পৃথক গুলির ঘটনায় অন্তত ৮ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জেলার সদর হাসপাতালের উপ-তত্ত্বাবধায়ক কায়সার আব্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনকে কুররাম জেলা পুলিশের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরান বলেছেন, প্রথম গুলি চালানোর ঘটনাটি কুররাম জেলার শালোজান সড়কে এবং দ্বিতীয়টি তেরি মেঙ্গল স্কুল এলাকায় ঘটেছে। ওই এলাকা থেকে ডন ডটকমের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় গুলির ঘটনাস্থলের দূরত্ব শালোজান সড়ক থেকে ছয় কিলোমিটার।
কুররাম জেলা সদর হাসপাতালের ডেপুটি মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কায়সার আব্বাস গুলিতে মোট ৮ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি স্কুলে গুলির ঘটনায় ৭ জন ‘শিক্ষক’ নিহত হয়েছেন।
এই বিষয়ে দেশটির পুলিশ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও টিভি বলছে, কুররাম জেলার তেহসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টাফরুমে শিক্ষকদের ওপর গুলি চালিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। দেশটিতে চলমান মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এলাকার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
বন্দুকধারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গুলির এই ঘটনার পর চলমান মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
একই এলাকায় অন্য একটি ঘটনায় চলন্ত গাড়িতে একজনকে শিক্ষককে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় এক দিনে মোট ৮ শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
জিও টিভি বলছে, গাড়ির ভেতরে গুলিতে নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ শরীফ। তিনিও তেহসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ। শালোজান সড়কে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
এদিকে, গুলিতে শিক্ষক নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। একই সঙ্গে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে শিক্ষার শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।