ঢাকা, সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বেনাপোল কাস্টম হাউজে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ২৯.৭৮ শতাংশ

বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় সম্ভব

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:২৮:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

বেনাপোল কাস্টম হাউজে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯.৭৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯.৪৮ শতাংশ।

কাস্টম সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৪৩৬.৬৯ কোটি টাকা। যার প্রবৃদ্ধি ২৯.৭৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে গত আদায় হয়েছিল ২২২৫.৭৬ কোট টাকা যার প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯.৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু জানুয়ারি মাসেই রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৪৬.২৬ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে যা ছিল ৩৪৩.৮৬ কোটি টাকা। কিন্তু, চলতি অর্থ বছরের আগস্ট-অক্টোবর এই ৩ মাস বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০০ ট্রাক সোয়াবিন এক্সট্রাক্ট ভারতে রফতানি হওয়ায় আমদানি কমে যায়। ফলে ওই ৩ মাস রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব পড়ে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে থাকলেও বছরগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরে সক্ষমতা বাড়লে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন নয়। বেনাপোল কাস্টম হাউসে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় আমদানিকারকরা অন্য বন্দরে যাচ্ছেন।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অভিযোগ করেন, সিরিয়ালের নামে বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের কালিতলা পার্কিংয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাক থেকে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কালিতলা পার্কিংয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাক দিনের পর দিন আটকে রেখে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করা হয়। ফলে, একটি ট্রাকের বাংলাদেশে আসতে সময় লাগছে এক মাসেরও অধিক সময়। এতে আমদানিকারকদের মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়। বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি বেড়েছে। উন্নয়ন কাজ শেষে হলে রেলপথে আমদানি আরও বাড়বে।

কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, বেনাপোল বন্দর ও রেলপথে আমদানি পণ্যের রাজস্ব আদায়, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন, ডিজিটালি অটোমেশন, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধ, নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি না নেওয়া পণ্যের নিলাম, ব্যবহারের উপযোগিতা হারানো কিংবা ক্ষতিকর রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণা, জাল জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকি রোধে অসাধু আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কাস্টম হাউস। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে ১৭টি সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স এবং চুড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে ৩টি লাইসেন্স। 

বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, করোনাকালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও উচ্চ শুল্কহারের কারণে পণ্য কম এসেছে। তবে বন্দরসহ ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে কাজ চলছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বাড়িয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় সম্ভব।