পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্পে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে দেশগুলো একটি চুক্তি করেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে অকাস নামে এই চুক্তির বিষয়ে বিশদ তুলে ধরেন দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা। এ চুক্তির আওতায় থাকবে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম টেকনোলজি ও সাইবারের মতো বিষয়গুলো।
চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতারা পরবর্তী প্রজন্মের পরমাণু চালিত সাবমেরিনের একটি বহর তৈরির পরিকল্পনা করছেন। মিত্র দেশগুলো যুক্তরাজ্যে রোলস-রয়েসের তৈরি চুল্লিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি নতুন বহর তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করার লক্ষ্যেই এই চুক্তি করা হয়েছে।
অকাস চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়া প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্তত তিনটি পারমাণবিক সাবমেরিন পাবে।
সোমবার বর্ণিত চুক্তির অধীনে, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভির (আরএএন) সদস্যরা সাবমেরিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য চলতি বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাবমেরিন ঘাঁটিতে যুক্ত হবেন।
এরপরের পরিকল্পনাটি হলো যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ডিজাইন ও নির্মাণ করা। যার নাম এসএসএন-অকাস। এই অ্যাটাক ক্রাফট ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি করা হবে। এতে তিনটি দেশের প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হবে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন ও ভবিষ্যতের নৌযানগুলো অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন দেবে যা তাদের বিদ্যমান নৌ-বহরের চেয়ে আরও দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে। এমনকি ক্রুজ মিসাইলসহ যা স্থল ও সমুদ্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
চুক্তির বিষয়ে জানানোর সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনটি দেশই নিশ্চিত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে অঞ্চলটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত থাকবে। এসময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার পাশে ছিলেন।
বাইডেন বলেন, এই নতুন অংশীদারিত্ব গঠন করে আমরা আবার দেখাচ্ছি যে গণতন্ত্র কীভাবে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি প্রদান করতে পারে...শুধু আমাদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, সাবমেরিন পরিকল্পনা হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিনি এটিকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বাজেটের সামরিক বিনিয়োগ বলে অভিহিত করেন।