আগের ম্যাচেই ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফলে শঙ্কা ছিল পারবে তো আর্জেন্টিনা? আশঙ্কা উড়িয়ে দিতেই যেন ৩৫ মিনিটে মেসির মেসির দারুণ এক সহায়তায় গোল করেন মোলিনা। ৭৩ পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন মেসি নিজে। আর্জেন্টিনার জয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল ঠিক তখনই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন নেদারল্যান্ডসের। ৮৩ মিনিট ও ইনজুরি টাইমে (৯০+১১ মিনিট) জোড়া গোল করে সব হিসেব পাল্টে দেন ভেঘোর্স্ট। ২-২ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে আর কোনও গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ প্রমাণ করলেন কেন তাকে বাজপাখি বলা হয়। ডাচদের প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিতে যায় আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। ছোট ছোট পাস খেলে উভয় দল।
প্রথম ২০ মিনিটে দুবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন মেম্ফিস ডিপাই, কডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি মার্তিনেজকে। অন্য দিকে থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। দুবার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসিরা।
কড়া রক্ষণে রাখা হয় মেসিকে। তিনি বল ধরলেই ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংরা এগিয়ে আসছেন। অন্তত তিন জন মিলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করছেন।
তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখা গেলো না মেসিকে।
৩৫ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। ঘাড়ের কাছে চার জন ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তার পর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ডান দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন মোলিনা।
১-০ গোলে এগিয়েই বিরতিতে যান মেসিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে মনযোগ দেয় নেদারল্যান্ডস। দু প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিলেন গাকপোরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বক্সে সে রকম বিপদ তৈরি হয়নি।
৬৩ মিনিটের মাথায় বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট একটুর জন্য গোলবারের ওপর দিয়ে যায়।
বক্সের মধ্যে আকুনিয়াকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এ বার গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি মেসির চতুর্থ গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে এক গোল শোধ করেন ডাচরা। হেডে দুরন্ত গোল করে ব্যবধান কমান ভেঘোর্স্ট। এরপরই আক্রমণের ধার বাড়ায় ডাচরা। শেষ ১০ মিনিটে আর্জেন্টাইনদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন ডি ইয়ং গাকেপোরা।
ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। সংযুক্তি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। বার্গুইসের ছোট ফ্রিকিক ধরে বাঁ পায়ের শটে গোল করলেন ভেঘোর্স্ট। ২-২ গোলে সমতা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।