বিয়ের পর অন্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান স্ত্রী। একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেমিক পরীক্ষিত দেবনাথের হাত ধরে পালিয়ে যান স্ত্রী ববিতা। এর পর স্বামী শ্রীমন্ত বর্মণ সালিশি সভায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকের হাতেই স্ত্রী ববিতাকে তুলে দেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের মাঝিগ্রামে। শ্রীমন্ত বর্মণ বালুরঘাটের চকদুর্গার বাসিন্দা।
জানা যায়, চকদুর্গার ববিতার সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীমন্ত বর্মণের। বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যবহারে পরিবর্তন দেখতে পান শ্রীমন্ত। তার কথাবার্তায় অসঙ্গতিও দেখা যায়। ফোনে প্রচুর কথা বলতেন ববিতা। নানা বিষয়ে অশান্তি লেগে থাকত তাদের মধ্যে। এর পর থেকেই স্ত্রীর প্রেমের বিষয়টি আঁচ করতে পারেন শ্রীমন্ত। পরে জানতে পারেন মাঝিগ্রামের বাসিন্দা পরীক্ষিত দেবনাথের প্রেমে পড়েছেন ববিতা।
কয়েক দিন পর ববিতা পরীক্ষিতের সঙ্গে পালিয়ে মাঝিগ্রামে চলে যান। এর পর শ্রীমন্ত মাঝিগ্রাম নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের মাঠে সালিশি সভায় তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েতপ্রধান নতুন বর্মণ জানান, প্রেমিক পরীক্ষিতের সঙ্গেই সংসার করতে চাইছিলেন ববিতা। আবার স্বামী শ্রীমন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ববিতার সঙ্গে তিনি আর থাকতে চান না। সুতরাং তাদের বিয়েতে শ্রীমন্তের কোনো আপত্তি নেই। তবে সরকারিভাবে এখনই শ্রীমন্তকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি ববিতা। তাই আপাতত সামাজিকভাবেই তার ও পরীক্ষিতের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পঞ্চায়েতপ্রধান নতুন বর্মণ। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মাঝিগ্রামের বাসিন্দারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।