![](https://dainikbayanno.com/storage/rahuljpg3-20240604191633.jpg)
বছরের পর বছর ধরে বিজেপির প্রধান টার্গেট ছিল রাহুল গান্ধী। পাপ্পু ও শাহজাদা বলেও ডাকা হতো তাকে। মূলত গান্ধী পরিবার ছিল বিজেপি নেতাদের মূল টার্গেট।
গত এক দশক ধরে বিজেপির তীব্র সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু ২০২৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় এবারে দৃশ্যপট ভিন্ন। শতাধিক আসনে এগিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩০ আসনে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
নির্বাচনের আগে ভারত জোড়ো নামে দেশব্যাপী যাত্রা করেন রাহুল। এ সময় তিনি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেন। এই যাত্রায় তিনি সমাজের সব ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তাকে দেখা গেছে কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে। ক্ষেতে নেমে কৃষকের সঙ্গে কাজ করেছেন, ট্রাক চালিয়েছেন।
এ বছরের নির্বাচনে প্রার্থী হননি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিন্তু অনেকেই আশা করেছিলেন তিনি নির্বাচন করবেন। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার কারণে অনেক প্রশ্ন জাগে। এর জবাবে প্রিয়ঙ্কা নানা জায়গায় উত্তরে বলেছেন, জেনে শুনেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ দুইজনে নির্বাচন করলে একটি নির্দিষ্ট আসনে মনোযোগ দিতে হতো। কিন্তু পিয়াঙ্কা চেয়েছেন কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে। নির্বাচনের সময় একাধিক আসনে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে নতুন এক প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে পায় মানুষ। বক্তব্য দিয়ে নজর কাড়েন। খুব সহজেই মানুষের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে পেরেছেন। মোদীর সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩২৮টিতে প্রার্থী দেন। বাকিগুলো জোটের জন্য ছেড়ে দেন। তবে তাদের এই পদক্ষেপ ফলাফলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কারণ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ২৩০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯৫ আসনে।
এবারের নির্বাচনে বিজেপির চেয়ে অর্ধেক আসন পেয়ে মিশন শেষ করতে পারে কংগ্রেস। তবে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে দুই ভাই-বোনের অবদান।
সূত্র: এনডিটিভি