হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামীকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ের করার অভিযোগে তুলে আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯ টায় আউশ কান্দি নামক স্থানে মারা যায় ওই গৃহবধূ ।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী সুজন মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। সুজন ওই উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে এএসআই উত্তম কুমার ঘোপ সহ একদল পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালেক মিয়াসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সুজন মিয়াকে আটক করা হয় ।
তবে স্বামী সুজনের দাবি, আকলিমা ৭ ছেলে-মেয়ে ও তাকে রেখে আরও দুটি বিয়ে করেছেন। সেই ক্ষোভে আকলিমার হাত-পা কেটে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। গুরুতর আহত আকলিমাকে পুলিশের গাড়িতে করে চুনারুঘাট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওসমানীতে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান।
এদিকে আকলিমার মেজ মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, তার বাবা মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে তাদের মাকে নির্যাতন করতেন সুজন। তানজিনা বলেন, বাবা আমাদের ভরণপোষণ করে না। মা-ই আমাদের একমাত্র ভরসা। আমার বাবা সেই মায়ের হাত-পা কেটে দিয়েছে। এখন আমরা কেমনে বাঁচুম', বলে কান্না ভেঙে পড়েন আকলিমা-সুজন দম্পতির মেজ মেয়ে। এ সময় তার পাশে আকলিমার আরও ৪ সন্তান বিলাপ করছিল। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন,
ওসমানীতে নিয়ে যাওয়া সময় রাস্তায় আউশ কান্দি নামক স্থানে পৌছালে আকলিমা মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।