দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের সাতজন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৫ জন ২০২৩ ইং, রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন, জুড়ী উপজেলার তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জয়, জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন রশীদ, আসরাফ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন ও মামুন আহমদ এবং ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় আহমদ।
তাঁরা জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়ার অনুসারী বলে জানা যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন ও শৃঙ্খলাবিরোধী অপরাধমূলক, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়- এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুড়ীতে সম্প্রতি দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জেরে ৭ জুন উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজারের চৌমোহনা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়ার অনুসারী নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রায় আধা ঘণ্টা জুড়ী-লাঠিটিলা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এদিকে ১১ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুই পক্ষের বিরোধ মিটমাটে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতা এবং ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র তিন দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জমা দিতে বলা হয়।