ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে ২লাখ ১০হাজার ইয়াবাসহ র‌্যাবের জালে বারমাইয়া রফিক

শহীদুল ইসলাম সোহাগ,টেকনাফঃ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৯ জুন ২০২২ ০৬:২৫:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা বাজার এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ২,১০,০০০ পিস ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার হয়েছে। পলাতক ২ সহযোগী।  
 
র‌্যাব- ১৫ এর গণমাধ্যম শাখা কর্তৃক প্রচারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,  
র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্ম প্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন প্রকার অপরাধ নির্মূলের লক্ষে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
 
র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ হ্নীলা বাজার সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীর সামনে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়/অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল ০৯/০৬/২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ০৩.১০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। অতঃপর আভিযানিক দল কর্তৃক ১। আবু সৈয়দ (২৫) পিতা-নুরুল কবীর, মাতা-ছমেদা বেগম, সাং-ফুলেরডেইল, ওয়ার্ড নং-০৩, ইউপি-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করে এবং ২। সোনা মিয়া (৩২), পিতা-মৃত ইমাম শরীফ, মাতা-লালমতি, সাং-ফুলেরডেইল, ০৩ নং ওয়ার্ড; ৩। মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ বারমাইয়া রফিক (৩৫), পিতা-আব্দুল কাদের, কাঁচার বিল মায়ানমার, বর্তমান ঠিকানা হোয়াব্রাং সূইস পাড়া, উভয় ইউপি-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ২,১০,০০০ (দুই লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ধৃত ও পলাতক আসামী পরস্পর যোগসাজসে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসমূহ সীমান্ত এলাকা হতে কম দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উল্লেখিত স্থানে অবস্থান করছিল মর্মে ধৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। 
 
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান বিজ্ঞপ্তিতে।
 
উল্লেখ্য যে, হ্নীলা নাফনদীর বেরিবাধ দিয়ে মাদক পাচারে রয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। তার মধ্যে অন্তম বারমাইয়া রফিক সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচার করে আসলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল রফিক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। উপরন্তু উক্ত বারমাইয়া রফিক নিজেকে প্রশাসনের বিশেষ বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকার লোকজনকে হরানী করে আসলেও তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতনা। এ সিন্ডিকেটের ইয়াবা পাচার, লুট ও ওপেন সিক্রেট মাদক লেনদেন এলাকার মুখে মুখে। অবশেষে দীর্ঘদিন পর এ সিন্ডিকেটের সদস্য আবু সৈয়দ বিরাট ইয়াবার চালানসহ আটক ও অপরাপর সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় এলাকার নিরীহ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 
অতি দ্রুত এ সিন্ডিকেটের প্রধান বার্মাইয়া রফিকসহ অপরাপর সদস্যের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।