ঢাকা, বুধবার ৮ মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১

নাগরপুরে ঐতিহ্যবাহী গুঁড়ি কোটার কাঠের ঢেঁকি এখন বিলুপ্তির পথে

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৯ জুন ২০২৩ ০৬:২৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

 এইতো ৯০ দশকের শেষ দিকেও ঢেঁকি শব্দে মুখরিত থাকতো নাগরপুর উপজেলার প্রায় সব এলাকায়। একসময় ঢেঁকি ছিল নাগরপুর জনপদে চাল ও চালের গুঁড়া বা আটা তৈরির একমাত্র মাধ্যম। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষাণীদের ঘরে ধান থেকে নতুন চাল ও চালের গুঁড়া করার ধুম পড়ে যেত। সে চাল দিয়ে পিঠা-পুলি, ফিরনি, পায়েস তৈরি করা হতো। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আগের মতো আর চোখে পড়ে না এই আধুনিক যুগে। পুরো উপজেলা ঘুরে এসে দেখা যায় ঢেঁকির ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ বা চেষ্টা করার কেউ নেই! তেল বা বিদ্যুৎ চালিত মেশিন দিয়ে ধান ও চাল ভাঙ্গানোর কারণে ঢেঁকি আজ কদরহীন। নাগরপুর উপজেলার গ্রাম গুলোতে ঘুরেও এখন ঢেঁকির দেখা মেলা কষ্টকর। ঢেঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকেই জানান, আগে প্রায় সবার বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। সেই ঢেঁকিছাঁটা চাল ও চালের পিঠার গন্ধ এখন আর নেই। উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের, সেনমাইঝাইল এলাকায় অনেক খুঁজে দেখা মিলে এক ঢেঁকি বাড়ির, উক্ত বাড়ির শুচিত্রা সরকার জানায়, ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করতে অনেক আনন্দ লাগে এবং অনেকটা স্মৃতি ধরে রাখতেই এখনো বাড়িতে ঢেঁকি রেখেছি। প্রায় ২০ বছর ধরে এই ঢেঁকিতে ধান ও আঁটা ভাঙ্গানোর কাজ করছি। এসময়ের মেয়েরা ঢেঁকির সাথে পরিচিত নয় এবং কিভাবে ঢেঁকিতে কাজ করে গুঁড়ি কোটা হয় সেটিও তাদের জানা নেই বললেও চলে।