ঢাকা, শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

রিমা বেগম/জুবের আহমদ, সিলেট: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ ০৩:৩৪:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দুইদিন। ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে কে নির্বাচিত হচ্ছেন তা নিয়ে নগরজুড়ে অনেক হিসেব নিকেশ হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে পাল্টে গেছে হিসেব নিকেশ। প্রথম দফায় বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে না আসায় নাগরিক পর্যালোচনায় ছেদ পড়ে। এককভাবে নির্বাচনী মাঠ চলে যায় নৌকার পক্ষে। কিন্তু কয়েকদিন না যেতেই শুরু হয় কানাঘুষা। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ভোট দেবেন নৌকার বিপক্ষে। হাত পাখার প্রার্থী ওই ভোট পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। লাঙ্গলের প্রতীক নিয়ে কানাঘুষার মধ্য দিয়ে প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের একটি ভিডিও বিতর্ক সৃষ্টি করে নগরবাসীর মধ্যে। যদিও নজরুল ইসলাম বাবুল দাবি করছেন ওই ভিডিও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের ফসল। নগরবাসী এখন নৌকার বিকল্প আর কাউকে ভাবতে পারছেন বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। এ নিয়ে অনেকের সাথে কথা হয়েছে। শহরের বাইরে দূরে অবস্থান করেও অনেকে নির্বাচন নিয়ে হিসেব নিকেশ করছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজুর রহমান শুরু থেকেই সিলেট সিটি নির্বাচনের উপর নজরদারী করছেন। সিলেট শহর থেকে তিনি বসবাস করেন ৩০ কিলোমিটার দূরে। সেখানেই বসেই হিসেব নিকেশ করছেন তিনি। সিলেটের নির্বাচন নিয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয় তাঁর সাথে। প্রথম থেকেই তিনি জানিয়ে আসছিলেন শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পেছনে অনেক কারণও তুলে ধরেন তিনি।  

ওইসব কারণগুলোর অন্যতম হচ্ছে, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন প্রতিশ্রæতিশীল ব্যক্তি। তিনি যা বলবেন তাই করবেন। এমন বিশ^াস নগরবাসীর মধ্যে জন্ম নিয়েছে। তিনি পদ হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত থাকবেন না। সিলেটবাসীর দাবি আদায়ে থাকবেন আপসহীন। এই আপসহীনতার দৃঢ়তার ছাপ রয়েছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর চোখে মুখে। যা বিশ^াস করতে পারছেন নগরবাসী।

সরদার আজিজ বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ একাধিক গ্রæপে বিভক্ত ছিল। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামার পর দূর হয়ে গেছে ওই বিভক্ত। সব গ্রæপ এক ছাতার নিচে সমবেত হয়েছেন। কাজ করছেন নৌকাকে বিজয়ী করার।

তিনি জানান, হতাশাগ্রস্ত তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান। তরুণ প্রজন্মও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর দেখানো স্বপ্নকে বিশ^াসযোগ্য হিসেবে আমলে নিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের ধারণা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সঠিক পথ দেখাতে পারবেন। তাদেরকে হতাশায় থাকতে হবে না। এই অবস্থায় তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রতি।  
তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনে আগে ছিল ২৭ টি ওয়ার্ড। বর্ধিত হয়ে এখন ওয়ার্ড হয়েছে ৪২ টি। বর্ধিত ১৫ টি ওয়ার্ড গ্রামীণ জনপদ। এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সবদিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে একাধিক সভা সমাবেশ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি ওইসব ওয়ার্ডের উন্নয়নে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ওইসব ওয়ার্ডের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন বলে ঘোষণা করছেন। এতে সাধারণ মানুষ ঝুঁকছেন আনোয়ারুজ্জামানের প্রতি। এসব ওয়ার্ড নাগরিকরা দল নয়, এলাকার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।

সরদার আজিজুর রহমান বলেন, সিলেট নগরবাসী নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে ড্রেনেজ সমস্যার কারণে একটুখানি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যা চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে নগরবাসীকে। এই অবস্থা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার ওয়াদা দিচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের পর্যটন খাতকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলছেন সিলেটকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করা হবে। ১০০ বছরের একটি মাস্টার প্লান দেবেন নগরবাসীর উন্নয়নে। নির্ধিদায় বলা যায় ওইসব কাজ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর মেধা দিয়ে করতে সক্ষম হবেন। নগরবাসীও তাঁর প্রতিজ্ঞাকে বিশ^াসযোগ্য হিসেবে ধরে নিচ্ছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আজিজুর রহমান বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। বিভিন্ন সময় এইসব প্রবাসী নানান সমস্যার সম্মুখিন হন। বিশেষ করে বিনিয়োগ করতে গেলে ঘাঁটে ঘাঁটে হয়রানীর শিকার হন। আনোয়ারুজ্জামান ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসীরা যথাযথ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেটে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই বক্তব্য প্রবাসীদের অন্তর ছুঁয়ে গেছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজ মুক্ত সিলেট গড়ে তোলার ঘোষণা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে।

তিনি বলেন, শুরু থেকে নগরীতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। চেষ্টা করেছেন প্রতিটি মহল্লায়, প্রতিটি ঘরে যাওয়ার। সফলও হয়েছেন তিনি। এখন তিনি কোথায়ও দাঁড়ালে ফটো তোলার জন্যে ভীর লেগে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। যা আনোয়ারুজ্জামানের জন্যে বিশাল অর্জন। আনোয়ারুজ্জামানের এগিয়ে যাওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। যা আনোয়ারুজ্জামানকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।