ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অক্টোবরে চালু হবে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধু টানেলের পরই অক্টোবরে চালু হবে চট্টগ্রামের মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।

 

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রার মুকুটে যুক্ত হতে প্রস্তুত হচ্ছে আরেকটি পালক মেগা প্রকল্প স্বপ্নের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে এক ঘণ্টার পথ বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে চট্টগ্রাম ও বন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়।

 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে আমরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। তবে নানা প্রতিষ্ঠানের বাধার কারণে আমাদের বেগ পেতে হয়। ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হয়।’

 

তিনি জানান, ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে নিমতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার কাজ শেষ। নিমতলা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত বাকি ৬ কিলোমিটারের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় ওপরের ঢালাই শেষ। চলছে রেলিংয়ের কাজ। কিছু কিছু জায়গায় চলছে মাটি ও ফাইলের কাজও।

 

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শাম জানান, সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেলের পরপরই অক্টোবরে এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন হবে।

 

তিনি আরও বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা পাল্টে যাবে। যানজট কমবে নগরের। বন্দরকেন্দ্রিক নানা জটিলতা দূর হবে।

 

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে নগরীর যানজট নিরসনের পাশাপাশি চাপ কমবে বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দর সড়কের ওপর। যেটি টানেল দিয়ে চট্টগ্রামকে যুক্ত করবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে।

 

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, এটির সুফল পুরো নগরবাসী পাবে। যাতায়াতে সময় কমবে। আগে এক ঘণ্টা সময় লাগলে এখন ২০ মিনিটে যাওয়া যাবে।

 

১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ২৪ টি লোপ ও র‍্যাম্প। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নে মেগা প্রকল্পে ব্যয় সারে চার হাজার কোটি টাকা।